স্কুলের নামে বাবার দান করা জমি বিক্রির অভিযোগ ছেলের বিরুদ্ধে, ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা

স্কুলের নামে বাবার দান করা জমি বিক্রির অভিযোগ ছেলের বিরুদ্ধে, ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা

bb9e6630c812eec8691a6b9c365ccc6f

গোয়ালপোখর: স্কুলের নামে বাবার দান করা জমি বিক্রি করার অভিযোগ ছেলেদের বিরুদ্ধে। স্কুলের জমি বাঁচাতে এবার ধর্নায় বসল গ্রামেরই মহিলারা। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার গোয়ালপোখর থানার পাঞ্জিপাড়া মিলন পল্লী এলাকায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পাঞ্জিপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের মিলন পল্লীর বাসিন্দা স্বর্গীয় শ্রী অনিল ভৌমিক প্রায় ৫০ থেকে ৬০ বছর আগে উত্তর হাসকুন্ডা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য জমি দান করেছিলেন। অনিলবাবু ওই এলাকার একজন সম্মানীয় ও জমিদার ছিলেন। তিনি এলাকার মানুষের স্বার্থে ও উচ্চ শিক্ষিত করার জন্য এই জমি দান করেছিলেন। স্কুলের জমিতে রয়েছে একটি মাঠ। সেই স্কুলের মাঠে নানান অনুষ্ঠান সহ এলাকার সমস্ত অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় ওই মাঠে।

কয়েক দশক ধরে খেলার মাঠ হিসেবে পরিচিত ওই মাঠ। এবং সেই জমি বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে স্বর্গীয় অনিলবাবুর ছেলেদের বিরুদ্ধে। সেই জমি রক্ষার জন্য এবার আন্দোলনে নেমেছেন এলাকার মহিলারা। তারা স্কুলের সামনে ধর্নায় বসেছেন। খবর জানাজানি হতেই স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মহম্মদ রাহি সহ একাধিক তৃণমূলের নেতৃত্বরা উপস্থিত হন। মহিলাদের সাথে কথা বলার পরে তাঁরাও স্কুলের জমি রক্ষার জন্য মহিলাদের সাথে আন্দোলনে সামিল হন। এবং স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বরা জানিয়েছেন, স্কুলের জমি রক্ষার জন্য মহিলাদের সাথে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।

অন্যদিকে স্থানীয় মহিলারা জানিয়েছেন, যতদিন স্কুলের জমি স্কুলের নামে না করা হচ্ছে ততদিন তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। এবং আগামী দিনে আরও বৃহত্তর আন্দোলনে যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন তাঁরা। অন্যদিকে এবিষয়ে স্বর্গীয় অনিলবাবুর ছেলে সৌরুপ রঞ্জন ভৌমিকের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, স্কুলের জন্য বাবা মৌখিকভাবে কোনও জমি দান করেছিল কি না জানা নেই৷ তবে স্কুলের মাঠটি তাদের সাত ভাই বোনের নামে আছে বলে জানান তিনি। তার মধ্যে থেকে অল্প কিছু জমি বিক্রি করার কথা স্বীকার করেন তিনি। এবং গ্রামবাসী ও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বরা যা ভালো মনে করবেন তিনি তাই মেনে নেবেন বলে জানিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *