হাবড়া: কালী পুজোর রেওয়াজ এখন লক্ষ্মীপুজোতেও৷ ফি বারই লক্ষ্মীপুজোতেও নিষিদ্ধ শব্দবাজি ফাটানো রীতিমতো রেওয়াজ হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ তবে গত বছর থেকেই এবিষয়ে তৎপরতা শুরু হয়েছে পুলিশ প্রশাসনের অন্দরে। এবছরও লক্ষ্মী পুজোর আগে জেলার বিভিন্ন জায়গার পাশাপাশি তৎপর হাবড়া থানার পুলিশ প্রশাসনও।
মঙ্গলবার দুপুর থেকেই হাবড়া বাজার সহ সংলগ্ন বিভিন্ন এলাকার বাজির দোকানে হানা দিল পুলিশ৷ সূত্রের খবর: দোকানে তল্লাশি চালিয়ে প্রায় ৭০ কেজি নিষিদ্ধ শব্দবাজি উদ্ধার করে পুলিশ। হাবড়া হাসপাতালের পাশে একটি বাজির দোকান থেকে বেশকিছু শব্দবাজি উদ্ধার হয়। হাবড়া হাসপাতালের পাশের এক বাজি বিক্রেতা স্বীকার করে নিয়েছেন, তিনি দোকানে নিষিদ্ধ শব্দ বাজি বিক্রি করছিলেন।
অবশ্য তিনি আরও দাবি করেন, বিগত বছরগুলিতে নিষিদ্ধ শব্দ বাজি তিনি বিক্রি করতেন না৷ এবছর করোনার কারণে বাজার খারাপ৷ তাই পেটের দায়ে, দুটি বাড়তি রোজগারের জন্য তিনি এই শব্দ বাজি দোকানে তুলেছিলেন। তবে তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন যে তিনি শব্দ বাজি বিক্রি করে ভুল করেছেন। অন্যদিকে পুজোর আগে নিষিদ্ধ শব্দ বাজি নিয়ে পুলিশের তৎপরতা নিয়ে খুশি সাধারণ মানুষও। এদিনের উদ্ধার করা নিষিদ্ধ শব্দবাজিগুলো ফায়ার ব্রিগেডের সহযোগিতায় হাবড়া থানার পুলিশ হাবড়া পুরসভার ডাম্পিং গ্রাউন্ডে নিয়ে গিয়ে সেগুলো ডিসপোজ করে।
পুলিশের এক কর্তা বলেম, শব্দবাজির অনেকগুলি খারাপ দিক রয়েছে৷ বিস্ফোরণ ঘটতে পারে, ফাটাতে গিয়ে জখম হওয়ার আশঙ্কা থাকে৷ একই সঙ্গে মাত্রাধিক্য পরিবেশ দূষণ এবং তীব্র আওয়াজে অনেক সময় বাচ্চা ও বয়স্করা সমস্যায় পড়তে পারেন৷ তাই আই করে শব্দবাজি ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে৷ আমরাও অভিযাবন চালাচ্ছি৷ কিন্তু মানুষের মধ্যেও আরও বেশি সতর্কতা প্রয়োজন৷