বাঁকুড়া: দ্বিতীয় স্ত্রীর আপত্তিকর ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো ও বধূ নির্যাতনের অভিযোগে বাঁকুড়ার সোনামুখী মণ্ডল-২ বিজেপি সভাপতি চঞ্চল সরকারের দাদা জয়ন্ত সরকারকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সোনামুখী থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে এদিন নদীয়ার কল্যাণী থানার পুলিশ কুরুমপুর গ্রামের বাড়ি থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। একই সঙ্গে পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ায় সরকার পরিবারের তিন জন সহ প্রতিবেশী মিলিয়ে মোট ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে৷
সূত্রের খবর, সোনামুখী মণ্ডল-২ বিজেপির সভাপতি চঞ্চল সরকারের দাদা জয়ন্ত সরকার ব্যবসা সূত্রে বিদেশে থাকেন। সম্প্রতি পুজোতে তিনি গ্রামের বাড়িতে এসেছিলেন। স্ত্রী ও মেয়ে থাকা সত্ত্বেও নদীয়ার কল্যাণীর বাসিন্দা এক মহিলাকে জয়ন্ত সরকার বিয়ে করেন। সম্প্রতি ওই মহিলার আপত্তিকর কিছু ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি অভিযুক্ত জয়ন্ত সরকার ওই মহিলাকে মারধর করেন বলেও অভিযোগ। এরপর এবিষয়ে জয়ন্ত সরকারের দ্বিতীয় স্ত্রী কল্যাণী থানায় অভিযোগ জানালে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে।
ধৃত জয়ন্ত সরকারের বোন ববিতা মল্লিকের দাবি, বাড়ির দরজা ভেঙে পুলিশ মারধর করে বাড়ি থেকে তার দাদা জয়ন্ত সরকারকে তুলে নিয়ে গিয়েছে। পুলিশের আক্রমণের হাত থেকে রেহাই পাননি বাড়ির মহিলা সদস্যেরাও। তবে ঠিক কি কারণে তার দাদাকে গ্রেফতার করা হয়েছে পুলিশ তাদের জানায়নি বলে তিনি দাবি করেন। পাশাপাশি ওই ঘটনার পর তার আর এক দাদা চঞ্চল সরকার ‘নিখোঁজ’ বলেও তিনি দাবি করেন।
তৃণমূল সমর্থিত আইএনটিটিইউসির জেলা সভাপতি সোমনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, অভিযুক্ত যে রাজনৈতিক দলের সদস্য হোন না কেন শাস্তি পাবেন। কর্তব্যরত পুলিশকে মারধোর করা হয়েছে, যা চরম অন্যায়। তবে এই পুলিশকে মারধরের পিছনে স্থানীয় বিজেপি বিধায়কের মদত আছে বলে তিনি দাবি করেন। যদিও স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘরামি এবিষয়ে বলেন, জয়ন্ত সরকার একজন বিশিষ্ট সমাজসেবী। আর যাই হোক উনি পুলিশকে মারতে পারেন না। গ্রাম থেকে উঠে গিয়ে বিদেশে হোটেল ব্যবসা করছেন। উনি গ্রামকে ভালোবেসে গ্রামেই পুজো করেন। একই সঙ্গে ‘তৃণমূল বিধায়ককে দেখে ভয় পাচ্ছে’ দাবি করে তিনি আরো বলেন, ওনাদের কোন কাজ নেই। মানুষের পাশে ওরা থাকেন না। আমি মানুষের পাশে থাকি। সেই ভয় থেকে এই ঘটনার পিছনে বিধায়কের নাম জুড়ে দেওয়া হচ্ছে বলে তিনি দাবি করেন।