হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মস্থানে দাঁড়িয়ে ‘ক্ষুব্ধ’ শান্তনু ঠাকুরের ভূয়সী প্রশংসা নমোর

হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মস্থানে দাঁড়িয়ে ‘ক্ষুব্ধ’ শান্তনু ঠাকুরের ভূয়সী প্রশংসা নমোর

ঢাকা: বাংলাদেশ সফরে গিয়েও মতুয়াদের মন জয়ে কোনও কসুর রাখলেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ মতুয়া ধর্মের প্রবক্তা হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মস্থান ওরাকান্ডির জনসভা থেকে ঠাকুর বাড়ি, বড় মা’র পাশাপাশি ভূয়সী প্রশংসা করলেন শান্তনু ঠাকুরের৷ তাঁকে ঠাকুর বাড়ির ঐতিহ্যের ধারক বলে উল্লেখ করলেন তিনি৷  

আরও পড়ুন-  সফরের দ্বিতীয় দিনে যশোশ্বরী মন্দিরে পুজো নমোর, দিলেন উপহার

এদিন প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে বলেন, অবহেলিত শোষিত সমাজ যা পেয়েছে তা হরিচাঁদ ঠাকুরের মতো কল্পবৃক্ষেরই ফল৷ তাঁর দেখানো পথে হেঁটে আমরা সামঞ্জস্যপূর্ণ সমাজের দিকে এগিয়ে চলেছি৷ উনি সেই সময়েই মহিলাদের শিক্ষা, তাঁদের সামাজিক অংশীদারিত্বের জন্য কাজ শুরু করে দিয়েছিলেন৷ আজ আমরা মহিলাদের ক্ষমতায়নের প্রচেষ্টায় সমস্ত বিশ্বকে এগিয়ে যেতে দেখছি৷ ওঁনার দিব্যদৃষ্টি ছিল৷ পরাধীনতার সময়েও তিনি সমাজকে বাস্তবিক প্রগতির পথ দেখিয়েছিলেন৷ ভারত হোক বা বাংলাদেশ সামাজিক সঙ্ঘবদ্ধতা অভিন্নতার মন্রেেশই এগিয়ে চলেছে৷ ঈশ্বরীয় প্রেমের পাশাপাশি হরিচাঁদ দেবের জীবন আমাদের কর্তব্যের প্রতি সচেতন করেছে৷ উনিই আমাদের বলেছিলেন, অত্যচার ও দুঃখের বিরুদ্ধে লড়াইও এক ধরনের সাধনা৷ 

বর্তমানে ঠাকুর বাড়ির অন্যতম প্রতিনিধি তথা বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরেরও ভূয়সী প্রশংসাও করেন প্রধানমন্ত্রী৷ নমো বলেন, ‘‘আমার সৌভাগ্য যে শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের পরিবারে ঐতিহ্যকে বয়ে নিয়ে চলা শান্তনু ঠাকুর সংসদে আমার সহযোগী৷ বয়সে আমার থেকে ছোট হলেও, ওঁনার কাছ থেকে অনকে কিছু শিখতে পারি৷ এর কারণ হল উনিও শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের মহান শিক্ষা নিজের জীবনে গ্রহণ করেছেন৷ উনি খবুই কর্মঠ৷ সমাজের লোকেদের জন্য সংবেদনশীলতার সঙ্গে দিন রাত কাজ করেন৷’’ 

আরও পড়ুন- বঙ্গ ভোটকে সামনে রেখে বাংলাদেশ ঠাকুরবাড়িতে মতুয়া মন জয়ে মোদী

তিনি আরও বলেন, আজ ভারত ও বাংলাদেশের সামনে একই রকম সংস্যা রয়েছে। সেই সমস্যা সমাধানের জন্য হরিচাঁদ ঠাকুরের অনুপ্রেরণা খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷ দুই দেশ একজোট হয়ে প্রত্যেকটি চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করবে৷ এটা আমাদের কর্তব্য৷ করোনা অতিমারির সময়েই উভয় দেশ নিজেদের সামর্থের পরিচয় দিয়েছে৷ উভয় দেশ এক সঙ্গে এই মহামারির জোরদার মোকাবিলা করছে৷ ভারতের তৈরি ভ্যাকসিন বাংলাদেশের মানুষের কাছেও যাতে পৌঁছয়, সেটা ভারতের কর্তব্য৷  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

15 − 12 =

বঙ্গ ভোটকে সামনে রেখে বাংলাদেশ ঠাকুরবাড়িতে মতুয়া মন জয়ে মোদী

বঙ্গ ভোটকে সামনে রেখে বাংলাদেশ ঠাকুরবাড়িতে মতুয়া মন জয়ে মোদী

ঢাকা:  আজ থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা ভোট৷ বঙ্গ ভোটে অবশ্যই অন্যতম ফ্যাক্টর মতুয়া৷ তাই বাংলাদেশ সফরেও সেই মতুয়া আবেগ ছোঁয়ার চেষ্টা চালালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা ভোটকে সামনে রেখে ওড়াকান্দিতে মোদীর মতুয়া মন্দির দর্শন রাজনৈতিক দিক থেকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে৷  

আরও পড়ুন-  সফরের দ্বিতীয় দিনে যশোশ্বরী মন্দিরে পুজো নমোর, দিলেন উপহার

এদিন ওড়াকান্জির সভা থেকেই নমো বলেন, শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের অনুামীদের স্নেহ বারবারই পেয়েছি৷ পশ্চিমবঙ্গের ঠাকুর নগরে গিয়েও মতুয়া ভাইবোনেদের কাছ থেকে পরিবারের সদস্যদের মতো ভালোবাসা পেয়েছিলাম৷ বিশেষ করে বড় মায়ের স্নেহ, তাঁর আশীর্বাদ আমার জীবনে অমূল্য৷ বঙ্গের ঠাকুর নগর খেকে বাংলাদেশের ঠাকুর বাড়ি পর্যন্ত একই রকমের শ্রদ্ধা রয়েছে৷ একই রকমের আস্থা আর অনুভূতি রয়েছে৷ 

গতকাল ঢাকায় ন্যাশনাল ডে’র অনুষ্ঠানের সময় বাংলাদেশের সৌর্য, ক্ষমতা ও সংস্কৃতির এক অপূর্ব প্রদর্শন দেখেছি৷ যা এই অপূর্ব দেশকে সমৃদ্ধ করেছে৷ এখানে আসার আগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের সমাধি সৌধ পরিদর্শন করে শ্রদ্ধাঞ্জলী দিয়েছি৷ ওঁনার নেতৃত্ব, ওঁনার দৃষ্টিভঙ্গী, বাংলাদেশের মানুষের প্রতি ওঁনার বিশ্বাস এক উদাহরণ স্বরূপ৷ 

আরও পড়ুন- আর নয় বিদেশিনী বিয়ে! নাগরিকদের জন্য কড়া নিয়ম সরকারের!

আজ যে ভাবে ভারত ও বাংলাদেশ সরকার দু’দেশের স্বাভাবিক সম্পর্ককে শক্তিশালী করছে৷ সাংস্কৃতিক ভাবে এই কাজই ঠাকুরবাড়ি এবং শ্রী শ্রী হরিচাঁদের বার্তা বহু দশক ধরে করে আসছে৷ এই স্থান ভারত ও বাংলাদেশের আত্মিক সম্পর্কের তীর্থ ক্ষেত্র৷ দুই দেশ নিজেদের বিকাশ ও প্রগতির চেয়ে সমস্ত বিশ্বের উন্নতি দেখতে চায়৷ উভয় দেশই পৃথিবীতে অস্থিরতা, সন্ত্রাস এবং অশান্তির পরিবর্তে স্থিতিশীলতা, প্রেম ও শান্তি চায়৷ এই মূল্য এই শিক্ষা শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুর আমাদের দিয়েছিলেন৷ আজ সারা বিশ্ব যে মূল্যবোধের কথা বলে, যে মানবতার স্বপ্ন দেখে তার জন্য শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুর নিজের জীবন উৎসর্গ করেছে৷  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × two =