হরিশ্চন্দ্রপুর: নয়ানজলিতে যাত্রীবাহী গাড়ি উল্টে আহত আট। ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নম্বর ব্লকের কুশিদাগামি রাজ্য সড়কে।আহত ব্যক্তিদের হরিশ্চন্দ্রপুর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে বলে খবর। ঘটনার পর থেকে ড্রাইভার পলাতক। ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন আটজন যাত্রী৷
জানা যায় বৃহস্পতিবার দুপুর একটা নাগাদ এক যাত্রীবাহী গাড়ি কুশিদা থেকে তুলসীহাটার অভিমুখে আসছিল। গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাজ্য সড়কের ধারে নয়নজলিতে উল্টে যায়৷ ।যাত্রীরা জানালার কাঁচ ভেঙে কোনওরকমে বাইরে বেরিয়ে আসে। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে স্থানীয়রা হরিশ্চন্দ্রপুর গ্ৰামিন হাসপাতালে ভর্তি করান। বাসের এক আহত যাত্রী বেবি খাতুন জানান, সে কাপাইচন্ডি থেকে তুলসীহাটা আসছিল। আচমকা গাড়িটি ব্রেক ফেল হয়ে নয়নজলিতে পড়ে যায়। গাড়িতে ১০-১২ জন যাত্রী ছিল। জানালার কাঁচ ভেঙে কোনওরকমে তাঁরা বেরিয়ে আসে৷
স্থানীয়রা জানান, কুশিদা থেকে তুলসীহাটা পর্যন্ত রাস্তা সংস্কারের অভাবে কঙ্কালসার হয়ে পড়ে আছে। এই বর্ষাতে রাস্তাটি ভয়ংকর রুপ ধারণ করেছে। এই খারাপ রাস্তার জন্যই প্রতিদিন ছোট বড় দুর্ঘটনা লেগেই আছে। রাস্তাটি সংস্কারের ব্যাপারে প্রশাসনের কোন ভ্রুক্ষেপ নেই।
অন্যদিকে ড্রেন নির্মাণের পনেরো দিনের মধ্যেই ভেঙে পড়ল পাটাতন! একটুর জন্য রক্ষা পেল গাড়ি চালক৷ ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভবানীপুর গ্রামে। এই নিয়ে এলাকায় শুরু হয়েছে উত্তেজনা।
জানা যায় পনেরো দিন আগে পঞ্চায়েত থেকে ৩ লক্ষ ৪৭ হাজার টাকা বরাদ্দে প্রায় ৬০ মিটার ড্রেন নির্মাণ হয়েছে। সামান্য দুই দিনের বৃষ্টিতে সিমেন্ট ও বালি খসে বেরিয়ে পড়ে আসল ড্রেনের কঙ্কালসার চেহারা। ভেঙে পড়ে একের পর এক পাটাতন। ভালুকাগামি রাজ্য সড়কের ধারে নির্মাণ হয়েছে এই ড্রেন। এই সড়ক দিয়ে ছোট-বড় সব ধরনের গাড়ি চলাচল করে। রাতের অন্ধকারে গাড়ির চাকা বসে গিয়ে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।
এক গ্রামবাসী সামসুল হক জানান পঞ্চায়েত প্রধান ও স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যকে নিয়ে ঠিকাদার এই ধরনের নিম্নমানের কাজ করিয়েছে। কাজ চলাকালীন বাধা দিলেও কোনো গুরুত্ব দেইনি। ফোন মারফত যোগাযোগ করা হলে ঠিকাদার গৌতম প্রামাণিক জানান সরকারি সিডিউল মেনেই কাজ হয়েছে। স্থানীয় রাজ মিস্ত্রি দিয়ে কাজ করানো হয়েছে। তবে ওই মিস্ত্রি যদি কাজের মধ্যে কোনওকিছু গোলমাল করে থাকে তবে তার কিছু করার নেই বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন।