নয়াদিল্লি: এমনিতেই গ্রীষ্মপ্রধান দেশ ভারত। তার উপর মার্চের শেষে ভরা বসন্তে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে গরমের দাপট। আবহাওয়া দফতরের রেকর্ড বলছে না তাপমাত্রার পারদ এখন ৩৬ ডিগ্রির কাছাকাছি উঠছে। বৈশাখ জ্যৈষ্ঠে এই পারদ ঠিক কতটা ভোগাবে এদেশের মানুষকে, এদিন তারই একটা ইঙ্গিত দিলেন মার্কিন গবেষকগণ।
২০২০-র হাত ধরে যে নতুন দশকে পা রেখেছে সভ্যতা, তার আগামী দিনগুলিতে যথেষ্ট প্রভাব বিস্তার করবে গ্লোবাল ওয়ার্মিং। শুধু তাই নয়, আগামী কয়েক বছরে ভারত সহ দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশগুলিতে চলবে তাপপ্রবাহও, এদিন এমনটাই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আবহাওয়া গবেষকদের একাংশ। আমেরিকার ওক রিজ় ন্যাশনাল ল্যাবরেটরির গবেষকদের এই বক্তব্য প্রকাশিত হয়েছে জিওফিজ়িকাল রিসার্চ লেটারস নামক এক স্বনামধন্য জার্নালে। তাপপ্রবাহের এই ভবিষ্যৎবাণী যে চিন্তায় ফেলেছে পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের, তা বলাই বাহুল্য।
ঠিক কী বলা হয়েছে মার্কিন জার্নালে? সূত্রের খবর অনুযায়ী, এবছর তো বটেই, চলতি দশকের আগামী বছরগুলিতেও স্বাভাবিকের তুলনায় অনেকটাই বেড়ে যাবে তাপমাত্রার পরিমাণ। এর ফলে উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গের মতো ভারতের যে কয়েকটি রাজ্যের অর্থনীতি কৃষির উপর নির্ভর করে থাকে, তারা যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলেও জানানো হয়েছে ওই জার্নালে। বলা হয়েছে, স্বাভাবিকের তুলনায় প্রায় ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে চলেছে দক্ষিণ এশিয়ার তাপমাত্রা।
এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের হাত থেকে রেহাই পাওয়ার উপায়ও বাতলে দিয়েছেন মার্কিন গবেষকগণ। তাঁরা জানিয়েছেন, একমাত্র গ্লোবাল ওয়ার্মিং তথা বিশ্ব উষ্ণায়নে নিয়ন্ত্রণ আনতে পারলেই রক্ষা পাবে মানব সভ্যতা। যত দ্রুত সম্ভব পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে বলেও জানানো হয়েছে জার্নালে। মার্কিন বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, তাঁদের আশঙ্কা অনুযায়ী ৩ ডিগ্রি না বাড়লেও চিন্তা থাকবে। তার কারণ তাপমাত্রা আগামী কয়েক বছরে যদি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসও বেড়ে যায়, তাহলেও তাপপ্রবাহের মুখোমুখি হবে দক্ষিণ এশিয়া। বিজ্ঞানীদের এই সতর্কবাণী বাস্তবে কতটা কার্যকরী হয় সেটাই এখন দেখার।