এগরা: এগরায় গ্রামীণ চিকিৎসকের সঙ্গে বচসা৷ বচসা চলাকালীন ওই গ্রামীন চিকিৎসককে ছুরি দিয়ে আঘাত করার অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে। যার জেরে অভিযুক্তকে গণপিটুনি দেন বাসিন্দারা৷ গণ পিটুনির জেরেই ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ৷ গন পিটুনির ঘটনায় পুলিশ এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে৷
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত যুবকের নাম জিতেশ নায়ক। তার বাড়ি এগরা থানার চিরুলিয়া গ্রামে। শুক্রবার অভিযুক্তকে কাঁথি মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তার জামিন নাকচ করে জেল হেফাজতে থাকার নির্দেশ দেন। এঘটনায় এখনও পর্যন্ত বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
সূত্রের খবর, এগরা ১ ব্লকের চিরুলিয়া বাজারে নরেন্দ্র মিরদা নামে চিকিৎসকের চেম্বার রয়েছে। গত কয়েকমাস আগে এগরা চাটলা গ্রামের নাজিমউদ্দিন শাহের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়েছিল চিকিৎসক নরেন্দ্র মিরদার। অভিযোগ, এরপরই ২০ সেপ্টেম্বর চিকিৎসকের চেম্বারে চড়াও হয় ওই যুবক৷ চিকিৎসককে খুনের পরিকল্পনা করেই ছুরি নিয়ে পেটে আঘাত করে ও লোহার রড দিয়ে মারধর করে৷ চিকিৎসকের চিৎকার শুনে বাজারে থাকা স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে আসেন৷ ওই যুবকের কাছ থেকে চিকিৎসককে উদ্ধার করেন তারা। রক্তাক্ত অবস্থায় ওই চিকিৎসককে প্রথমে এগরা সুপার ফেসিলিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয় তাকে৷
চিকিৎসকের হামলার প্রতিবাদে সরব হন এলাকার বাসিন্দারা। ওই যুবকের উপর শুরু হয় গণপ্রহার। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হয় এগরা থানার পুলিশ। কোন রকমের ওই যুবককে উদ্ধার করে এগরা সুপার ফেসিলিটি হাসপাতালে নিয়ে আসেন। চিকিৎসকরা নাজিমউদ্দিন সাহাকে (৩৫) মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই চাটলা ও চিরুলিয়া এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে নামে এগরা থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। এরপর মৃত যুবকের স্ত্রী এগরা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ বেশ কয়েকজনকে গনপিটুনির ঘটনায় গ্রেফতার করে৷
