কলকাতা: ২০২০ সালের একেবারে গোড়ার কথা৷ বিশ্বজুড়ে হানা দিল মারন করোনা ভাইরাস৷ প্রায় আড়াই বছর ধরে তাণ্ডবলীলা চালানোর পর অনেকটাই থিতু পরিস্থিতি৷ ২০২৩-এর প্রায় ইতির পথে কোভিড৷ সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম গ্রেবিয়াসিস ঘোষণা করেন, করোনার শেষের শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রাণঘাতী সংক্রমণ নিয়ে চিন্তা কমতে শুরু করেছিল সবে৷ এরই মধ্যে নতুন করে শুরু হল মারন ভাইরাসের দৌরাত্ম। চিন্তা বাড়াচ্ছে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট এরিস। ব্রিটেনে হু হু করে বাড়তে শুরু করেছে সংক্রমণ৷ এই পরিস্থিতিতে উদ্বেগে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও।
করোনার গ্রাসে প্রাণ হারিয়েছে লক্ষ লক্ষ মানুষ৷ ধ্বংস হয়ে গিয়েছে বহু পরিবার৷ দীর্ঘ যুদ্ধের পর সবটা সামলে উঠেও যেন ফের ঘটল ছন্দপতন৷ দেখা মিলল করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টের৷ তবে একটাই স্বস্তি, এখনও গোটা বিশ্বকে কাবু করতে পারেনি কোভিডের এই নয়া স্ট্রেন৷ আঘাত হেনেছে ব্রিটেনের উপরে৷ ব্রিটেনের হেলথ সিকিউরিটি এজেন্সি-র তরফে জানানো হয়েছে, করোনার ই জি.৫.১ ভ্যারিয়েন্ট, যা এরিস নামে পরিচিত, ক্রমশই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। যার উৎপত্তি হয়েছে অতি সংক্রামক ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট থেকে৷ গত মাসে ব্রিটেনে প্রথম এই ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ মেলে৷ দ্রুত এই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে। সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে এশিয়াতেও। তবে যে ভাবে ব্রিটেনে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে, তা দেখার পর সংশ্লিষ্ট সব মহলকে সতর্ক করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, বর্তমানে ব্রিটেনে প্রতি সাতজন করোনা আক্রান্তের মধ্যে একজন এরিস ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমিত হচ্ছেন৷
৩ অগাস্টের ব্রিটেন স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্তৃপক্ষের তরফে যে রিপোর্টে দেওয়া হয়েছিল তাতে দেখা গিয়েছে, সে দেশে ৪৩৯৬টি নমুনার মধ্যে ৫.৪ শতাংশই করোনায় আক্রান্ত৷ এক মাস আগে ৪৪০৩টি নমুনার মধ্যে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩.৭ শতাংশ । এমতাবস্থায় সকলকে সচেতন হতে বলা হচ্ছে৷ কিন্তু, সতর্ক হবেন কী ভাবে? কোভিড আক্রান্ত কিনা, সেটা বা বুঝবেনই কেমন করে? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনার এরিস ভ্যারিয়েন্টের মূলত পাঁচটি উপসর্গ রয়েছে৷ সেগুলি হল-
• নাক থেকে জল পড়া
• মাথা ব্যাথা
• হাঁচি
• গলা ব্যাথা এবং
• ক্লান্তিভাব
করোনার এই ভ্যারিয়েন্টে আক্রন্তের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে৷ উপচে পড়ছে হাসপাতালের বেড৷ পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখছেন স্বাস্থ্য আধিকারিকরা৷ তবে এই সব উপসর্গগুলি দেখলে দ্রুত চিকিৎসকের পরমার্শ নিন৷ মেনে চলুন কোভিড বিধি৷
হু প্রধান টেড্রোস আধানম গ্রেবেয়াসিস জানিয়েছেন, সাধারণ মানুষ পূর্ববর্তী করোনা সংক্রমণ ও করোনা ভ্যাকসিনের কারণে অনেকটাই সুরক্ষিত৷ তাবলে সতর্কতায় কোনও খামতি রাখা উচিত নয়।