কাতার: কাতারে দ্বিতীয় হানিমুনে গিয়ে ড্রাগ পাচারের মিথ্যে অভিযোগে দু’বছর জেলের ঘানি টানার পর অবশেষে স্বস্তির নিশ্বাস ফেললেন দম্পতি৷ জামিনে মুক্তি পেয়েছেন এবং খুব শীঘ্রই তাঁরা দেশে ফিরবে৷ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ঢুকতেই নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে ধরা পড়েন তাঁরা।
২০১৯ সালের ঘটনা। মুম্বইয়ের বাসিন্দা আনিবা এবং শারিক কুরেশি তাঁদের দ্বিতীয় হানিমুন কাটাতে গিয়েছিলেন কাতারে৷ দোহা বিমানবন্দরে ঢুকতেই প্রথামাফিক তাঁদের ব্যাগ তল্লাশি করেন নিরাপত্তারক্ষীরা৷ তখনই তাঁদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় ৪.১ কেজি নিষিদ্ধ মাদক ‘হাসিশ’। পুলিশের কাছে তাঁরা বলেন, এ বিষয়ে কিছুই জানতেন না তাঁরা। পুলিশকে তাঁরা আরও জানান, এক আত্মীয়া তাঁদের এই প্যাকেটটি দিয়ে এক বন্ধুর কাছে পৌঁছে দিতে বলেছিলেন৷ যদিও তাঁদের কোনও কথাই শোনেনি সেদেশের আদালত৷ ১০ বছর কারাদণ্ডের আদেশ দেয় আদালত৷ জেলেই এক কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছেন আনিবা। দু’ বছর কাতারের জেলে কাটিয়ে অবশেষে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন এই দম্পতি৷ তাঁদের খুব শীঘ্রই তাঁদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে বলে জানা গিয়েছে৷
শারিক এবং আনিবার মুক্তির জন্য তাঁদের পরিবারের তরফে বারবার অনুরোধ জানানো হয়। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে আনিবার বাবা এনসিবি-র ডেরেক্টর জেনারেল রাকেশ আস্থানাকে এক চিঠিতে অভিযোগ জানান, শারিকের এক আত্মীয়া, তাবাসুম রিয়াজ কুরেশি এবং তাঁর এক সহকারী নিজাম কর, দু’জনে পরিকল্পনা করে তাঁদের মেয়ের বিরুদ্ধে এই চক্রান্ত করেছেন।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শারিক এবং আনিবা কাতারের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার সময় একটি ব্যাগ তাঁদের হাতে দিয়েছিলেন তাবাসুম। ২০১৯-এর ৫ জুলাই বেঙ্গালুরু থেকে কাতারের বিমানে ওঠেন শারিক ও আনিবা। সে সময় তাবাসুমের সহকারী আরও একটি ব্যাগটি তাঁদের দেন। এতে মনে সন্দেহ হওয়ায় তাবাসুমকে ফোন করে ব্যাগের ব্যাপারে জানতেও চান শারিক। তাবাসুম তাঁকে বলেন, ব্যাগে কিছু গুটখা ও জরদা রয়েছে । কাতারে এগুলি খুবই দামি, সে কারণে এ গুলি বন্ধুর জন্য পাঠাচ্ছে তিনি। আনিবার বাবা শাকিল আহমেদ কুরেশির অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে এনসিবি। তদন্তে নেমে নিজাম ও তাবাসুমকে জেরা করছে এনসিবি-র আধিকারিকরা দেখেন, বিরাট বড় একটি ড্রাগ পাচারের জাল বিছিয়ে রেখেছেন এই দুই অভিযুক্ত।