বারাসত: লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা ঢোকেনি অ্যাকাউন্টে৷ কেন টাকা ঢোকেনি তা জানতে গেলে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ সদুত্তরও দিতে পারেনি৷ উল্টে খারাপ ব্যবহার করে বলে অভিযোগ৷ এরই জেরে সোমবার উত্তর ২৪ পরগনার কালুপুর কানাড়া ব্যাংক এবং সংশ্লিষ্ট চত্বর কার্যত রণক্ষেত্রর চেহারা নিল৷ শুরু হয় বিক্ষোভ৷ ভাঙচুর করা হয় ব্যাংকের সামনে এটিএম কাউন্টারের কাচ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বনগাঁ থানার পুলিশ৷ গ্রাহকদের আশ্বস্ত করার পর অনেক পরে ওঠে অবরোধ।
রাজ্যে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প শুরু হতেই নানা প্রান্ত থেকে উঠে আসছে দুর্নীতির ছবি। কখনও টাকা ঢোকেনি ব্যাঙ্কে, আবার কখনও বা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের ফর্ম পূরণ করার নাম করে দুর্নীতি। একের পর এক অভিযোগ উঠে আসছে রাজ্য জুড়ে। উত্তরবঙ্গের ফালাকাটা থেকে শুরু করে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক এলাকায় উঠেছে অভিযোগ। কালুপুর এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, কানাড়া ব্যাঙ্কে দীর্ঘদিন ধরে সঠিকভাবে পরিষেবা পাচ্ছেনা গ্রাহকরা। ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে সমস্যার কারণে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকাও ঢোকেনি৷ এরই প্রতিবাদে সোমবার দুপুরে ব্যাঙ্কের সামনে ভিড় জমায় কয়েকশো গ্রাহক।
গ্রাহকদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে সঠিক পরিষেবা মিলছে না৷ এমনকি ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টের সমস্যার কারণে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকাও ঢুকছে না। এই পরিস্থিতিতে হাজার বার অভিযোগ জানানোর পরও কোনও সুরহা মেলেনি। উল্টে জানতে চাইলে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ খারাপ ব্যবহার করে৷ আবার অনেকে বলছেন, ভোটের জন্য লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ালু হয়েছিল৷ ভোট মিটেছে৷ এবার এই ভাণ্জারও উঠে যাবে৷ সত্যি তো টাকাও ঢোকেনি অ্যাকাউন্টে৷ স্বাভাবিকভাবেই সবমিলিয়ে ক্ষোভ ভয়াবহ আকার নিয়েছিল৷