করোনার দ্বিতীয় ঢেউ রুখতে নয়া যন্ত্র আবিষ্কার চিনের!

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ রুখতে নয়া যন্ত্র আবিষ্কার চিনের!

 
বেজিং: করোনা ভাইরাসের ইনিংসে নতুন করে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে৷ এবার করোনা রুখতে আশার আলো দেখাচ্ছে চিন। চিনের বিজ্ঞানীরা এমন একটি ডিভাইস তৈরি করেছেন, যাতে ইলেকট্রন বিম ই-রেডিয়েশনের মাধ্যমে করোনা নামক ভাইরাসটিকে নিষ্ক্রিয় করা যাবে। দক্ষিণ চিনের শেনজেন শহরে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়৷ বিশেষজ্ঞদের একটি প্যানেল পর্যালোচনা করে তারপরই এই বিশেষ প্রযুক্তিটি পেশ করা হয়। এই ডিভাইসের প্রয়োগ তারা  করার ক্ষেত্রে তাড়াহুড়ো করা হবে না বলেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে চিন।

সম্প্রতি চিন এই খবর ও কিছু তথ্য লুকোচ্ছে বলে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অভিযোগ ওঠে। সেখানকার এক বিশিষ্ট চিকিৎসক বলেন, এই খবর এমন একটা দিনে উঠেছে, যখন কোভিড-১৯ নিয়ে হু-র নিয়োগ করা আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের তথ্য দিয়েছে চিন। অতএব এই খবর লুকোনোর অভিযোগ একেবারেই ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন ওই চিকিৎসক। মঙ্গলবার চিন ও হু-র যৌথ সমীক্ষা প্রকাশিত হয়৷  এরপর হু-র ডিরেক্টর জেনারেল বলেন, আন্তর্জাতিক তদন্তকারীদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অসম্পূর্ণ। কিন্তু  উভয়পক্ষের গবেষকদের তদন্তের সময়ে একই তথ্য দেওয়া হয় বলে  দুই পক্ষের গবেষকদের কো-লিডার লিয়াং ওয়ানিয়ান সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন। এমনটা একদমই নয় যে, আন্তর্জাতিক তদন্তকারীদের আলাদা কোনও তথ্য দেওয়া হয়।

তিনি আরও সংযোজন করেন, ‘চিনা আইন অনুযায়ী, কিছু তথ্যের ছবি তোলা যায় না, তবে যখন আমরা উহানে একসঙ্গে এই সব বিশ্লেষণ করছিলাম, তখন সব তথ্য দেখানো হয়েছে।’ বিশেষজ্ঞ প্যানেলের সম্পূর্ণ তথ্য এবং নমুনাগুলি অসম্পূর্ণ বলে বারবার যে অভিযোগ তোলা হয়, তার জবাবে লিয়াং বলেন, তখন কোনও বিজ্ঞানীর কাছেই সঠিক তথ্য ছিল না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তোলা অভিযোগকে তিনি অস্বীকার করেন এবং নির্দিষ্ট করে বলেন “প্রতিটি কথা, প্রতিটি উপসংহার, প্রতিটি তথ্য” প্রকাশের আগে দু’ পক্ষকেই যাচাই করা উচিত৷  সেদেশের সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া সূত্রে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, এই পুরো প্রকল্পটিতে যুক্ত ছিল চিনের জাতীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎ কর্পোরেশন, সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়, চিনা একাডেমি অফ সায়েন্সেস, শেনজেন ন্যাশনাল ক্লিনিকাল রিসার্চ সেন্টার ফর ইনফেকশন ডিসিস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three − 2 =