মালদা: রাতের অন্ধকারে ত্রাণের সামগ্রী আত্মসাতের অভিযোগ অঞ্চল প্রধানের বিরুদ্ধে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য মালদা জেলার মানিকচকে।
শারদ উৎসব ও বন্যার জন্য মানিকচক ব্লকের হিরানন্দপুর অঞ্চলে প্রায় ৪০ কুইন্টাল চাল এবং ৩০০ টি ত্রিপল ত্রাণ ব্লক প্রশাসনের তরফ থেকে পঞ্চায়েতকে দেওয়া হয়েছিল। পঞ্চায়েতের বিজেপি, তৃণমূল, নির্দল সদস্যরা একত্রিত হয়ে প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন প্রধান কাজল মণ্ডল ও স্বামী নয়ণ মণ্ডল কোন মেম্বারকে গুরুত্ব না দিয়ে মানুষের মধ্যে বিতরণের জন্য চাল ও ত্রিপল রাতের অন্ধকারে অন্যত্র সরিয়ে দিচ্ছেন৷
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য৷ অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে তিনি নিজের ইচ্ছা আত্মীয়স্বজনকে সরকারি সুবিধা পাইয়ে দিচ্ছেন। যার জেরে বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ মানুষেরা৷ এরই জেরে মানিকচক ব্লকের বিডিও এবং মানিকচক পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির কাছে প্রধানের বিরুদ্ধে লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করা হয়৷
এই বিষয়ে পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি সদস্য অজেন মণ্ডল এবং তৃণমূলের এক সদস্যার স্বামী বিজয় মণ্ডল জানান, ‘‘প্রধান কাজল মণ্ডল ত্রাণের চাল, ত্রিপল বিক্রি করছে৷ যা হাতেনাতে সাধারণ মানুষ ধরেছে। আমরা চাই সাধারণ মানুষের জন্য সরকার যে সমস্ত ত্রাণ সামগ্রী দিচ্ছে তারা যাতে প্রকৃত কবলিত মানুষরা যাতে পায়। ব্লক প্রশাসনের উপযুক্ত তদন্ত করে বিষয়টি দেখুক।’’
এই বিষয়ে মানিকচক পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কবিতা মণ্ডল বলেন, ‘‘আমরা অভিযোগ পেয়েছি৷ মানিকচক ব্লক বিডিও অভিযোগ তদন্ত করে খতিয়ে দেখবে। তবে যদি প্রধান কাজল মণ্ডল চাল, ত্রিপল আত্মসাৎ করে থাকে তা হলে তা অত্যন্ত নিন্দনীয় ঘটনা।’’ যদিও হিরানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে কাজল মণ্ডলের স্বামী নয়ন মণ্ডল। নয়নবাবু বলেন, ‘‘নিয়ম মেনেই সব কাজ করা হয়েছে৷ তারপরও কেন অভিযোগ জানাল বুঝতে পারছি না৷’’ অন্যদিকে এই বিষয়ে মানিকচক ব্লকের বিডিও জয় আমেদ ফোনে বলেন, ‘‘ অভিযোগ পেয়েছি৷ খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷ অভিযোগ প্রমাণিত হলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’