দিঘা: মঙ্গলবার পর ফের বুধবার। দিঘা মোহনার মৎস্য নিলাম কেন্দ্রে প্রায় ৫৪ লক্ষ টাকায় বিক্রি হলো ৩২ টি তেলিয়া ভোলা। মাত্র এক দিনের ব্যবধানে আবারও লাখপতি হলেন ট্রলার মালিক চঞ্চল প্রধান। গত মঙ্গলবার ৩৩টি তেলিয়া ভোলা মাছ বিক্রি হয় প্রায় এক কোটি টাকায়। এরপর মাত্র একদিনের ব্যবধানে বুধবার ফের দিঘা মোহনায় আবারও ৩২ টি তেলিয়া ভোলা মাছ বিক্রি হল ৫৪ লক্ষ ৯৪ হাজার ৬০০টাকায়।
গভীর সমুদ্রে মূলত ভোলা মাছ ধরতে যায় স্থানীয় ট্রলার মালিক চঞ্চল প্রধানের বেশ কয়েকটি ট্রলার। গত বেশ কয়েকদিন আগেই “মা বাসন্তী” নামে একটি ট্রলার মাছ ধরতে গভীর সমুদ্রে যায়। তারই জালে ৩২ টি তেলিয়া ভোলা মাছ পড়ে। বুধবার সকালে দিঘা মোহনায় শ্যামসুন্দর দাসের আড়তে মাছগুলি নিলামে তোলা হয়। বিরাট আকারের এই প্রকার দুষ্প্রাপ্য মাছ দেখতে পর্যটকদের মধ্যে উৎসাহ ছিল একেবারে তুঙ্গে।
দুষ্প্রাপ্য এবং বৃহৎ ওজনের এই মাছগুলো কিনে নেয় এসটিএফ সংস্থা। জানা যায় মোট এদিন ৩২টি তেলিয়া ভোলা মাছ নিয়ে মৎস্য আড়তে এসে হাজির হয় ওই ট্রলারটি। সবমিলিয়ে মোট ৬৪৩ কেজি মাছ বিক্রি হয় ৫৪ লক্ষ ৯৪ হাজার ৬০০ টাকায়। এই ধরনের দুষ্প্রাপ্য মাছ মাঝে মাঝে মধ্যেই গভীর সমুদ্রে মৎস্যজীবীদের জালে ধরা পড়ে। এই মাছের পেটে থাকা পটকা দিয়ে বিভিন্ন ধরনের ঔষধ তৈরি হয়ে থাকে। তাই এই ধরনের মাছের বিদেশে বিশেষ চাহিদা রয়েছে। ট্রলার মালিক চঞ্চল প্রধান বলেন, “আমার মা বাসন্তী নামের এই ট্রলারে মাছগুলো ধরা পড়ে। মোট ৩২টি মাছ প্রায় ৫৪ লক্ষ টাকায় বিক্রি হয়। মাঝে মধ্যে এই মাছ জালে ধরা পড়ে। তেলিয়া ভোলা মাছের চাহিদা বেশি থাকায় এর দামও বেশি।”