‘মিসেস শ্রীলঙ্কা’র মঞ্চে বাঁধল ‘লঙ্কাকাণ্ড’, দুই সুন্দরীর ফাইটে চরম ক্লাইম্যাক্স

‘মিসেস শ্রীলঙ্কা’র মঞ্চে বাঁধল ‘লঙ্কাকাণ্ড’, দুই সুন্দরীর ফাইটে চরম ক্লাইম্যাক্স

কলম্বো:  প্রতিযোগিতা ছিল মিসেস শ্রীলঙ্কা হওয়ার৷ সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার সেই মঞ্চেই ঘটে গেল কুৎসিত এক ঘটনা৷ বিজয়িনীর মাথা থেকে মুকুট খোলাকে কেন্দ্র করে মঞ্চে বাঁধল হুলস্থুল কাণ্ড৷ টানা হ্যাঁচড়ার চোটে ছিড়ল চুল৷ মাথায় এমন আঘাত লাগল যে বিজয়িনীকে নিয়ে ছুটতে হল হাসপাতালে৷ 

আরও পড়ুন- হবু বউমার মুখ দেখে হারানো মেয়েকে ফিরে পেলেন শাশুড়ি-মা!

কিন্তু কেন তৈরি হল এমন পরিস্থিতি? কারণ অবশ্যই আমাদের সমাজের কাছে এক লজ্জাজনক দিক৷ প্রশ্ন উঠল নারীর সম্পূর্ণতা নিয়ে৷ নারী কি কেবল স্বামীর নামেই সম্পূর্ণ? একাকী তাঁর কি কোনও অস্তিত্বই নেই? বিষয়টি এবার খুলে বলা যাক৷ রবিবার রাজধানী কলম্বোর নীলম পোকুনা মহিন্দা রাজাপক্ষ থিয়েটারে আয়োজন করা  হয়েছিল ‘মিসেস শ্রীলঙ্কা’ প্রতিযোগিতার৷ ওই প্রতিযোগিতায় প্রথম হন বছর ৩১ এর পুষ্পিকা ডি সিলভা৷ বিজয়িনী হিসাবে তাঁর নাম ঘোষণা হতেই নিয়ম মাফিক পুষ্পিকার মাথায় মুকুট পরিয়ে দেন ২০১৯-’২০ বর্ষের বিজয়িনী ক্যারোলিন জুরি৷ এর পরেই শুরু হয় নাটকের ক্লাইম্যাক্স৷ মাইক নিয়ে বক্তৃতা রাখতে গিয়েই বোমা ফাটান ক্যারোলিন৷ স্টেজে বাধে ‘লঙ্কাকাণ্ড’৷ 

মাইক হাতে বক্তৃতা শুরু করেই পুষ্পিকাকে আক্রমণ শানাতে শুরু করেন ক্যারোলিন৷ হাজার হাজার দর্শকের মাঝে তিনি বলে ওঠেন, পুষ্পিকা ওই মুকুটের যোগ্য নন। কারণও ব্যাখ্যা করেন তিনি৷ বলেন, এই প্রতিযোগিতা বিবাহিত মহিলাদের জন্য। স্বামীর সঙ্গে সংসারের মধ্যে থেকে সমস্ত দায়িত্ব পালন করে যাঁরা অনন্য হয়ে উঠেছেন তাঁরাই এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া যোগ্য। পুষ্পিকার বিয়ে হলেও তিনি তাঁর স্বামীর সঙ্গে থাকেন না৷ তাই সেরার শিরোপা পাওয়ার যোগ্যও তিনি নন৷ তাঁর কথা শুনে তখন হতবম্ভ উপস্থিত মানুষ৷ হতবাক টিভিতে চোখ রাখা অগণিত দর্শক৷ এখানেই থামেননি ক্যারোলিন৷ এর পর কার্যত ঝাঁপিয়ে পরে তিনি পুষ্পিকার মাথা থেকে মুকুট টেনে হিঁচড়ে খুলে এনে পরিয়ে দেয় দ্বিতীয় স্থানাধিকারীর মাথায়৷ তৈরি হয় তুমুল বিশৃঙ্খলা৷ অপমানে চোখের জলে স্টেজ ছাড়েন পুষ্পিকা৷ 

আরও পড়ুন- বহুতলের বারান্দায় দেদার নগ্নতা, ফোটোশুট! অবশেষে শ্রীঘরে ৪০ তরুণী

এর কিছুক্ষণ পরে অবশ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্যারোলিনকে যোগ্য জবাব দেন পুষ্পিকা৷ জানান, আইনত স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়নি তাঁর৷ তবে তাঁরা আলাদা থাকেন৷ তিনি নিজেই সন্তানকে বড় করছেন৷ এর জন্য যদি তিনি প্রতিযোগিতার যোগ্য না হয়ে থাকেন, তাহলে তাঁর কোনও আফশোস নেই৷ তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে প্রতিযোগিতার আয়োজকদের তীব্র আক্রমণ করেন নেটনাগরিকরাও৷ সারা বিশ্বজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে৷ এর পরেই তাঁরা নড়েচড়ে বসেন ও দ্বিতীয় স্থানাধিকারীর কাছ থেকে পুষ্পিকার মুকুট ফিরিয়ে দেন৷ 
এর পর মুকুট পরেই সাংবাদিকদের মিখোমুখি হয়ে পুষ্পিকা জানান, আমার সঙ্গে আমার স্বামীর আইনি বিচ্ছেদ এখনও হয়নি৷ তবে যিনি অন্যের মাথা থেকে মুকুট কেড়ে নেয়, তিনিও অনন্যা হওয়ার যোগ্য নন৷’’ আইনি পদক্ষেপ করার কথাও জানান তিনি৷    

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

1 × 2 =