কাঁথি: কাঁথি দেশপ্রাণ ব্লকের মেগা “বিজয়া সাম্মিলনী” থেকে রাজ্যের মৎস্য মন্ত্রী অখিল গিরিকে প্রণাম নিবেদন করে এক সাথে চলার ডাক দিলেন উত্তর কাঁথি বিধানসভার কোর্ডিনেটর তথা দেশপ্রাণ পঞ্চায়েত সমিতি সহ সভাপতি তরুণ জানা। যদিও এই অনুষ্টানে ডাক পাননি মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি। এমনি দাবী মৎস্যমন্ত্রীর ছেলে তথা কাঁথি সংগঠনিক জেলার যুব তৃনমূল কংগ্রেস সভাপতি সুপ্রকাশ গিরির।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি দেশপ্রাণ ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হল জেলার মেগা বিজয়া সাম্মিলনী। দেশপ্রাণ ব্লকের বসন্তিয়া স্কুল মাঠে অনুষ্ঠানটি হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তরুণ কুমার মাইতি, প্রাক্তন মন্ত্রী জ্যোতির্ময় কর, রাজ্য যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সহ সভাপতি পার্থ সারথি মাইতি, উত্তর কাঁথি বিধানসভার কো-অর্ডিনেটর তরুণ জানা সহ একধিক জেলা নেতৃত্বরা। বিজয়া সাম্মিলনী মঞ্চে তাবড় তাবড় তৃণমূল নেতাদের দেখা গেলেও দেখা যায়নি পূর্ব মেদিনীপুর জেলা থেকে নির্বাচিত মন্ত্রী অখিল গিরিকে।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রীর অনুপস্থিতির বিষয়টিকে কেন্দ্র করে একটি গুঞ্জন উঠতে থাকে। সমগ্র অনুষ্ঠানটি হয় দেশপ্রাণ তৃণমূল কংগ্রেসের ব্যানারে। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে গিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তৃণমূল নেতা তরুণ জানা। মন্ত্রীর অনুপস্থিতির বিষয়ে তরুণবাবু সাংবাদিকদের বলেন, “আজকে দিনে বির্তকিত মন্তব্য করতে চাই। আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সৈনিক৷আপনাদের প্রশ্নে উওর দিতে হয়। এড়িয়ে যাওয়ার কোন প্রশ্ন নেই। বারংবার মৎস্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রন জানিয়েছি।’’
এরপরই বোমা ফাটিয়েছেন, ‘‘গত বিধানসভা নির্বাচনে আমাকে হারানো জন্য প্রকাশ্যের কাজ করছেন। ভেতরে ভেতরে অন্তর্ঘাত করেছেন৷ সৌমেন্দু অধিকারী অফিসে গিয়ে টাকা নিয়েছেন। সমন্ত ছবিতে ধরা আছে৷’’ একই সঙ্গে অখিল গিরির উদ্দেশ্যে তরুণবাবুকে বলতে শোনা যায়, ‘‘তবে আমি কাউকে আঘাত করতে চাই না। আপনিও তৃনমূল দীর্ঘদিনের সৈনিক৷ কোন এই বিভাজন। আপনি কাউকে তুলতে চান, কাউকে প্রতিষ্টিত করতে চান৷ কাউকে ছোট করে বড় হওয়ার যায় না।’’ পাল্টা কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি অখিল গিরির৷ তবে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অখিল পুত্র তথা কাঁথি সংগঠনিক জেলার যুব তৃনমূল কংগ্রেস সভাপতি সুপ্রকাশ গিরির। তিনি বলেন, “মৎস্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রন জানানো হয়নি। এটা আমি দ্বায়িত্ব নিয়ে বলছি৷ তবে উনি (তরুণ জানা) যদি প্রমান দেখাতে পারেন, তাহলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব৷’’ রাজনৈতিক মহল বলছে, এই ঘটনার জেরে ফের প্রকাশ্যে এসেছে কাঁথিতে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল৷ যা ইতিমধ্যে এলাকার রাজনৈতিক মহলে আলোচ্য বিষয় হয়ে উঠেছে৷