কলকাতা: আসন্ন খরিফ মরশুমে কৃষদের কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত সহায়ক মূল্যে ধান কেনার জন্য রাজ্য সরকার বিভিন্ন জেলায় উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের মাধ্যমে বিশেষ নজরদারি রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
খাদ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ফোরেদের দৌরাত্ম্য রুখতে উত্তর এবং দক্ষিণ বঙ্গের উনিশটি জেলায় প্রতিটিতে একজন করে সচিব, যুগ্ম সচিব বা অধিকর্তা সহ বিভিন্ন স্তরের আধিকারিকদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন জেলার দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের সেখানে গিয়ে ধান কেনার কাজে নজরদারি এবং চাষীদের পরামর্শ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। প্রান্তিক চাষীরা যেন কোনোভাবেই কম দামে ধান বিক্রি করতে বাধ্য না হন তার উপরে বিশেষ নজর রাখার কথা বলা হয়েছে।
খাদ্যদপ্তরের নির্দেশিকায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আগামী মাস অর্থাৎ নভেম্বর থেকেই আধিকারিকদের প্রতি সপ্তাহে জেলা সফর অভিযান শুরু করে দিতে হবে। ধান কেনার কাজে নজরদারি ও পরামর্শ দিতে আধিকারিকদের সপ্তাহে দু-তিন দিন জেলায় থাকতে হবে। খাদ্যদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বিশেষ ভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, ধান কেনার প্রধান উদ্দেশ্য অভাবের কারণে চাষিরা যেন কম দামে ধান বিক্রি না করে। দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের অন্যতম দায়িত্ব হল প্রকৃত চাষির কাছ থেকে ধান কেনার বিষয়টিতে নজর রাখা।
উল্লেখ্য আগামী মাস থেকেই রাজ্যে চাষীদের কাছ থেকে কুইন্টাল প্রতি ১৯৪০ টাকা সহায়ক মূল্যে ধান কেনার কাজ শুরু হতে চলেছে। এরপরেও উৎসাহ ভাতা হিসেবে চাষীদের কুইন্টাল প্রতি অতিরিক্ত আরও কুড়ি টাকা করে দেওয়া হবে। নথিভূক্ত কৃষকরা সর্বোচ্চ ৪৫ কুইন্টাল পর্যন্ত ধান বিক্রি করতে পারবেন। খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ জানিয়েছেন, এই বছর ৪৯ লক্ষ মেট্রিক টন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে।