কলকাতা: বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার ছয় মাসের মধ্যেই মোহভঙ্গ হয়েছে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের। গতকাল বিজেপি ছেড়ে আবার পুরোনো দল ঘাসফুল শিবিরে ফিরে এসেছেন তিনি। যদিও বাংলায় হয়নি এই যোগদান পর্ব, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে হয়েছে ত্রিপুরাতে। কিন্তু এই দলবদল নিয়ে তোলপাড় বঙ্গ রাজনৈতিক মহল যা নিতান্তই স্বাভাবিক ব্যাপার। তবে এই দলবদল নিয়ে সবচেয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য হয়তো করে ফেললেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আজ বিধানসভার বাইরে সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দুর মন্তব্য নতুন জল্পনা সৃষ্টি করল।
আজ বিধানসভার বাইরে বাংলাদেশ হিংসার ঘটনার প্রতিবাদে মোমবাতি হাতে মৌন মিছিল করে বিজেপি বিধায়করা। যে মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন খোদ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পরবর্তী সময়ে সাংবাদিক বৈঠকে তাঁকে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “আমি এগুলো কিছু বলবো না। আমি এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না। এ ব্যাপারে আমাদের রাজ্য সভাপতি এবং সাংসদ ডক্টর সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, দলের প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন। আমি বিজেপি কর্মী, তাঁদের কথা এই আমার কথা। তবে যদি ব্যক্তিগতভাবে একজন বিজেপি কর্মী এবং বিধায়ক হিসেবে আমাকে জিজ্ঞাসা করা হয় তাহলে বলব, যিনি গতকাল আগরতলায় যোগ দিয়েছেন, এই নামে কোনো ব্যক্তি ২ মে থেকে গতকাল সকাল পর্যন্ত বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে করেছেন কিনা আমার অন্তত জানা নেই।” পাশাপাশি তিনি আরো বলেন, যখন রাজ্যে একের পর এক বিজেপি কর্মীরা খুন হচ্ছেন, যখন প্রায় এক লক্ষ বিজেপি কর্মী ঘরছাড়া হচ্ছে, তখন এই নামের কোন ব্যক্তি কোনো মন্তব্য করেনি, প্রতিবাদ জানায়নি।
উল্লেখ্য, আজ শুভেন্দু অধিকারী জানিয়ে দেন যে কয়েকদিন অধিবেশনে থাকবে না বিজেপি। শুভেন্দু বলেন, উৎসবের কারণে এই কয়েকদিন অধিবেশনে থাকবে না বিজেপি। এই সময় তারা সাধারণ মানুষের সঙ্গে থেকে উৎসব পালন করতে চান। তিনি এও বলেন, আগামীকাল থেকেই তারা বিধানসভায় আসবেন না। তবে তাঁরা বিধানসভার অধিবেশন বয়কট করছেন না। ছট পূজা থেকে শুরু করে দীপাবলি, কালীপুজো মিটে যাওয়ার পর ১৬ বা ১৭/১৮ তারিখ যদি বিধানসভার অধিবেশন হয় তাহলে তারা যোগ দেবেন।