কলকাতা: চার কেন্দ্রের উপনির্বাচনে বিপুল ভোটে জিতেছে রাজ্যের শাসক দল। বিধানসভা নির্বাচনে যে দুটি আসন জিতেছিল বিজেপি, সেই দুটিও হাতছাড়া হয়ে গিয়েছে এবার। তিন জায়গায় জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে বিজেপির, আবার রেকর্ড ভোটে সব আসনে জিতেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে এত বিশ্রী হারের পরেও শাসক দলকে আক্রমণ করতে ছাড়ছে না বিজেপি নেতৃত্ব। রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার স্পষ্ট বলছেন, রাজ্যে সন্ত্রাসের আবহে ভোট হয়েছে এবং ভোটের মার্জিন দেখেই সেটা বোঝা যাচ্ছে।
আজ উপনির্বাচনের ফল প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, রাজ্যে নির্বাচন করার মতো পরিস্থিতি প্রথম থেকেই ছিল না। সন্ত্রাসের আবহে এই নির্বাচন হয়েছে এবং ভোটের মার্জিন দেখলেই সহজে বোঝা যায় যে কী হয়েছে। এই প্রসঙ্গে তিনি দিনহাটার ফলাফল সম্পর্কে কটাক্ষ করেছেন। সুকান্তর কথায়, উপনির্বাচনে ব্যবধান দেড় লক্ষ, এতেই বোঝা যাচ্ছে যে কী ভাবে ভোট হয়েছে। মানুষ বোকা নয়, সবাই সব বোঝে। এই পরিপ্রেক্ষিতেই রাজ্যের শাসক দলকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, রাজ্যের একাধিক জায়গায় ঘরছাড়া বিজেপি কর্মীরা এখনো বাড়ি ফিরতে পারেননি, বিভিন্ন এলাকায় গণতন্ত্র অবশিষ্ট নেই। গোটা রাজ্য রাজনীতির যা অবস্থা তাতে যা হওয়ার তাই হয়েছে। যদিও সুকান্তর বিশ্বাস, বিজেপি অতীতের তৃণমূল কংগ্রেসের থেকে ভালো জায়গায় রয়েছে। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক সময় একা সাংসদ ছিলেন, সেখান থেকে ক্ষমতায় পৌঁছেছিলেন। তখন হয়তো তাঁর ২৯ জন বিধায়ক ছিল। তাই বিজেপি অনেক ভালো জায়গায় রয়েছে এখন।
এদিকে বিজেপির সুরেই কার্যত সুর মিলিয়েছেন বর্ষিয়ান সিপিএম নেতা তথা প্রাক্তন বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্য। তিনি এই ভোটের ফল প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বলেছেন, যা ফল হয়েছে তাতে স্পষ্ট যে গণতন্ত্রের হত্যা হয়েছে। একজন প্রার্থী প্রায় ৯৫ শতাংশ ভোট পাচ্ছে, এটা গণতন্ত্রের হত্যা নয় তো কী, উত্তর দিতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।