কলকাতা: উৎসবের আবহে গতকাল বড়োসড়ো ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার জ্বালানিতে আবগারি শুল্ক কমানোর কথা ঘোষণা করেছে। সাধারণ মানুষকে বড় স্বস্তি দিয়ে ঘোষণা করা হয়েছে যে, পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম কমছে। আজ থেকেই নতুন নিয়ম কার্যকর এবং কিঞ্চিত কম হয়েছে জ্বালানির দাম। পেট্রোল এবং ডিজেলের লিটার প্রতি আবগারি শুল্ক যথাক্রমে ৫ টাকা এবং ১০ টাকা কমানো হয়েছে। কিন্তু এই ইস্যুতে বাংলার মনোভাব দেখে একেবারেই খুশি নয় বঙ্গ বিজেপি। কড়া ভাষায় সমালোচনা করা হয়েছে এবং আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য জানান, রাজ্য সরকার অবিলম্বে ‘ভ্যাট’ না কমালে বিজেপি ভাইফোঁটার পর থেকে রাজ্য জুড়ে আন্দোলন করবে। তবে কেন্দ্রীয় সরকার পেট্রোল ও ডিজেলের এক্সাইজ ডিউটি সামান্য কমিয়ে নাটক করছে বলে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ ইতিমধ্যেই অভিযোগ করেছেন। তার উত্তরে আজ শমীক ভট্টাচার্য বলেন, এক্সাইজ ডিউটি কমানোয় সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে বলে কেন্দ্রীয় সরকার কখনোই দাবি করেনি। কঠিন এবং বিপরীত পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে সরকার সদর্থক পদক্ষেপ নিয়েছে। তাই পেট্রোল ও ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে রাজ্যের শাসক দল যেভাবে পথে নেমে প্রতিবাদ করেছে এবং বিজেপিকে জনবিরোধী দল, মানুষের সঙ্গে শত্রুতা ও চরম সর্বনাশ করেছে বলে দাবি করেছিল, তাদের রাজনৈতিক বিবৃতি দেওয়ার আগে কর ছাড় দেওয়া উচিত বলে শমীক ভট্টাচার্য দাবি করেন।
কেন্দ্রীয় সরকার এই সিদ্ধান্তে খুশি নয় কংগ্রেসও। তাঁদের বক্তব্য, ১৪টা বিধানসভা এবং ২টি লোকসভা হারার পর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি সরকার, তার আগে উত্তরোত্তর দাম বাড়ানো হয়েছে। আর এখন ৫ টাকা, ১০ টাকা কমানো হচ্ছে। কংগ্রেস নেতা রণদীপ সুরজেওয়ালা এমন তথ্য দিয়েই আক্রমণ করেছেন কেন্দ্রীয় সরকারকে। এদিকে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর কথা অনুযায়ী, এই সিদ্ধান্ত মন থেকে নেওয়া নয়। ভয় থেকে নেওয়া। এই লুটের সরকারকে আগামী নির্বাচনে জবাব দিতে হবে। পাশাপাশি দলের তরফে এটিকে নতুন একটি জুমলাও পর্যন্ত বলা হয়েছে।