বাঁকুড়া: দক্ষিণ বঙ্গের অন্যতম সরকারি চিকিৎসাকেন্দ্র বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল। বাঁকুড়ার গণ্ডি ছাড়িয়ে পার্শ্ববর্তী পুরুলিয়া ও পশ্চিম মেদিনীপুরের একটা বড় অংশের মানুষ এখানে চিকিৎসা করাতে আসেন। কিন্তু এই হাসপাতালের লোকপুর ক্যাম্পাসের একটা বড় অংশ জুড়ে ঝোপ-ঝাড় আর জঙ্গলে ভর্তি। পুরো ক্যাম্পাস জুড়ে অব্যবস্থার ছবি স্পষ্ট।
আগাছা বাড়তে বাড়তে দেওয়াল ছেড়ে জানালা দিয়ে ভিতরে ঢুকতে শুরু করেছে। ফলে চরম আতঙ্কে সাধারণ রোগী থেকে তাদের পরিবারের লোকজন। তাদের আশঙ্কা ওই জঙ্গলে থাকতে পারে বিষাক্ত সাপ থেকে অন্যান্য জীবজন্তু। ফলে সুস্থ হতে এসে সাপের কামড়ে আবার যেন মৃত্যু না হয় সেই আতঙ্কেই দিন কাটছে তাদের।
রোগী ও তার আত্মীয়দের বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের কথায়, হাসপাতাল চত্বর জুড়ে ঝোপঝাড়ে ভর্তি। ওই ঝোপঝাড় সাপেদের নিরাপদ আশ্রয় হয়ে উঠেছে। প্রায়শই এই এলাকায় সাপেদের দেখা মেলে। ফলে চরম আতঙ্কে রয়েছেন জানিয়ে বলেন প্রশাসনিক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাতেই আজ এই অবস্থা। দ্রুত এলাকা পরিস্কারের দাবিতেও তারা সরব হয়েছেন।
বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডাঃ পার্থ প্রতিম প্রধানকে এবিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমাদের মূল ক্যাম্পাস গোবিন্দনগরে। লোকপুরে মূলত চিকিৎসা বিদ্যার প্রথম বর্ষের ক্লাস হয়। এছাড়াও চোখ, কার্ডিওলজি-নিওরোলজির আউটডোর পরিষেবা ওখানে মেলে। ওখানকার বেশিরভাগ বাড়ি ভগ্নপ্রায় ও পরিত্যক্ত। আমাদের এত লোকবল নেই। যেখানে রোগী ভর্তি থাকেন সেখানেই আমরা পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করি। তবে ওই জায়গাকে বিকল্পকাজে ব্যবহারের চিন্তাভাবনা রয়েছে বলে তিনি জানান।