কলকাতা: কালীপুজোর রাতেই সকলকে দুঃখ দিয়ে চিরতরে চলে গিয়েছেন রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তাঁর প্রয়াণে গভীরভাবে শোকাহত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ ভাইফোঁটার অনুষ্ঠান বাতিল করলেন। সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরেই তিনি জানিয়েছিলেন যে, ‘সুব্রতদার মৃতদেহ আমার পক্ষে দেখা সম্ভব নয়।’ মন্ত্রীর শেষকৃত্যের অনুষ্ঠানেও দেখা যায়নি মমতাকে। আর আর সেই শোকেই ভাইফোঁটার অনুষ্ঠান বাতিল করলেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি তিনি কোনও উৎসবে সামিল হবেন না বলেও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
তাঁর হাত ধরেই রাজনীতিতে হাতেখড়ি হয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিনি শুধু তাঁর সহযোদ্ধা ছিলেন না, ছিলেন দাদার মতোই। প্রত্যেক বছর ‘দাদা’ সুব্রত আসতেন ‘বোন’ মমতার বাড়িতে। কিন্তু এই বছর থেকে আর তা হবে না। তাই আরও বেশি যেন ভেঙে পড়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দাদা সুব্রতকে আর তিনি ভাইফোটা দিতে পারবেন না, এটা মেনে নেওয়াই কঠিন হয়ে পড়েছে তাঁর জন্য। তাই আজ এই অনুষ্ঠান বাতিল করেছেন তিনি। জানা গিয়েছে, রীতি মেনে ভ্রাতৃদ্বিতীয়ার আচারটুকু হবে। নিজের ভাইদের ফোঁটা দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এর থেকে বেশি কিছু হবে না। এমনকি কোনও নেতা বা মন্ত্রীদেরও আজ বাড়িতে আসতে বারণ করে দিয়েছেন মমতা বলে জানা গিয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ২২ মিনিটে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের৷ শুক্রবার সকালে ১০টায় রবীন্দ্রসদনে নিয়ে আসা হয় তাঁর দেহ৷ ২টো পর্যন্ত সেখানেই শায়িত রাখা হয়েছিল তাঁকে৷ সেখানে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর পর তাঁর নিথর দেহ নিয়ে যাওয়া হয় বিধানসভায়৷ তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে বিধানসভায় যান রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়৷ এর পর বাড়িতে নিয়ে আসা হয় তাঁর দেহ৷ সেখান থেকে কেওড়াতলা শ্মশানের উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয় সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের নশ্বর দেহ৷ সেখানে গান স্যালুট দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয় তাঁকে৷ তারপর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।