কলকাতা: সম্প্রতি যে চার কেন্দ্রে উপনির্বাচন হয়েছিল সেখানে সবকটিতেই হেরেছে বিজেপি। রেকর্ড সংখ্যক ভোটে জিতেছে শাসক দল। ফল ঘোষণার পর বিজেপির তরফ থেকে গণনায় কারচুপির অভিযোগ তোলা হয়েছিল। সেই দাবিকে আরো জোরালো করলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বললেন, ইভিএম বদল করা হয়েছিল! এই কারণেই তৃণমূল কংগ্রেস ভোটে জিততে পেরেছে, আর এই জন্যই এত বিপুল সংখ্যক ভোট পেয়েছে তারা। যদিও শুভেন্দুর এই দাবির পাল্টা দিয়েছেন শাসক দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
শুভেন্দুর বক্তব্য, ইভিএম বদলানো না হলে কোনও দল ৮৬, ৮৭ শতাংশ ভোট পেতে পারে না। গোসাবার এবং দিনহাটার প্রার্থীরা ভোট পেয়েছেন তা কোনও দলের প্রার্থী পেতে পারে বলে তিনি জানেন না। শুভেন্দুর কথায়, শান্তিপুর কলেজ বুথে তৃণমূল পেয়েছে ৪৭৮ ভোট এবং বিজেপি পেয়েছে ৮ ভোট। অথচ সেখানে বিজেপি কর্মীর সংখ্যা ২০ জন এবং তাদের পরিবারের সদস্য সংখ্যা মিলিয়ে হবে প্রায় ১০০ জন। তাহলে বিজেপি কর্মীরা বিজেপিকে ভোট দেয়নি? প্রশ্ন তুলেছেন শুভেন্দু। তিনি আরো বলেন, বেহালা পূর্বের মেশিনের ভোট গোনা হয়েছে গোসাবায়। বিজেপি বিধায়কের এই দাবি একেবারে ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি এটিকে পাগলের প্রলাপ বলে কটাক্ষ করেছেন।
এই ইস্যু প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেছেন, শুভেন্দু অধিকারীর উচিত নিজের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টানো। বিজেপি কর্মীর পরিবারের সদস্যরা সবাই বিজেপিকে ভোট দেবে এমন কোথাও লেখা নেই। এটা বিজেপির ব্যর্থতা আছে তাদের বাড়ির লোকেরাও তাদের ভোট দিচ্ছে না। সেই ব্যর্থতা স্বীকার না করে এখন পাগলের প্রলাপ বকছেন। কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী দ্বারা ভোট হয়েছে, তার পরেও শুভেন্দু অধিকারী কাঁদছেন। কুণালের কটাক্ষ, তাঁর চিকিৎসার প্রয়োজন রয়েছে। প্রসঙ্গত, খড়দহ, গোসাবা, শান্তিপুর এবং দিনহাটায় বিপুল সংখ্যক ভোটে জয়ী হয়েছে ঘাসফুল শিবির।