কত ঝগড়া করেছি, হিসেব নেই! বন্ধু সুব্রতর স্মৃতিচারণে কাঁদলেন শোভন

কত ঝগড়া করেছি, হিসেব নেই! বন্ধু সুব্রতর স্মৃতিচারণে কাঁদলেন শোভন

কলকাতা: তিনি চলে যেতে বাংলার রাজনৈতিক একটা অধ্যায় শেষ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু তিনি যে নেই সেটা এখনো মানতে পারছেন না অধিকাংশ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। বিশেষ করে রাজনীতিবিদ সুব্রত মুখোপাধ্যায় নন, বন্ধু সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে মনে পড়ছে অনেকের। আর এদের মধ্যে অন্যতম রাজ্যের অন্য এক মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। পরম বন্ধু সুব্রতর কথা বলতে বলতে চোখ থেকে জল বেরিয়ে এল তাঁর। সোমবার বিধানসভার অধিবেশন এই নিয়ে কথা বলতে বলতে কেঁদে ফেললেন তিনি।

শোভনদেব জানান, পরিচয় হওয়ার পর থেকে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর পথচলা শুরু। ছাত্র আন্দোলন থেকে এতগুলো বছর কাটিয়েছেন একসঙ্গে। এতগুলো বছরে কতবার ঝগড়া করেছেন দুজনে তার কোন ইয়ত্তা নেই, কিন্তু দুজনের বন্ধুত্ব ছিল নিবিড়। এই কথা বলতে বলতেই চোখ ছল ছল করে ওঠে রাজ্যের মন্ত্রীর। তিনি আরো বলেন, সুব্রত যে আর নেই সেটা তিনি কোনও ভাবেই বিশ্বাস করতে পারছেন না এখনও। পুজোর আগেও একসঙ্গে আড্ডা মেরেছেন কারণ এখন তাঁর সমবয়সী তিনিই ছিলেন। শোভনের কথায়, মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে তাঁর ঘরে এসে আড্ডা দিতেন সুব্রত। বলতেন, তিনি তাঁর সমবয়সী তাই সব কথা তাঁকেই বলা যায়। এমনকি সুব্রত মুখোপাধ্যায় নিজের স্ত্রীকে যে কথা বলতেন না সেই কথাও শোভনদেবকে বলতেন। এইসব কথা বলতে বলতেই নিজের পরম বন্ধুর স্মৃতিচারণ করেন রাজ্যের মন্ত্রী। 

কালীপুজোর দিন রাতে এসএসকেএম হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি তবে শুক্রবার ছুটি পাওয়ার কথা ছিল। যদিও তার আগের দিন রাতেই স্টেন্ট থ্রম্বোসিসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি। রাজ্যের মন্ত্রীর মৃত্যু মেনে নিতে পারেননি খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনিও বলেছিলেন যে, সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে তিনি এই ভাবে দেখতে পারবেন না তাই তাঁর শেষকৃত্যেও দেখা যায়নি মমতাকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eleven − ten =