কলকাতা: শুভেন্দু অধিকারী এবং কুণাল ঘোষ তরজা আবারো তুঙ্গে। বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকেই দুর্নীতি প্রসঙ্গে শুভেন্দুকে বারবার আক্রমণ করেছেন কুণাল। সম্প্রতি আবার নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়ে ‘শুভেন্দু হটাও’ স্লোগান তুলেছেন তিনি। অন্যদিকে বাংলাদেশের ঘটনায় রাজ্য সরকারের নীরব থাকার বিষয় নিয়ে একহাত নিয়েছেন শুভেন্দু। তারও আবার পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন কুণাল। তবে এখন শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছেন যে তিনি কুণাল ঘোষকে ‘লেভেলের’ ভাবেন না! বিজেপি বিধায়কের বক্তব্য, তিনি লেভেল বুঝে কথা বলেন। যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিছু বলেন তাহলে তার উত্তর দেবেন তিনি।
এদিন সকালেই নন্দীগ্রাম থেকে শুভেন্দুকে বাক্যবাণে বিদ্ধ করেছেন কুণাল ঘোষ। তাঁর দাবি, বিজেপিকে খুশি করতে এবং নিজের রাজনীতির ক্যারিয়ার সচ্ছল করতে সমাজে ধর্মের বিভাজন তৈরির চেষ্টা করছে শুভেন্দু৷ একই সঙ্গে নিশিকান্ত মণ্ডল খুনের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে কুণাল বলেন, শুভেন্দু অধিকারী শহীদদের রক্ত নিয়ে নিজের পরিচয়ের প্রকাশ দিয়েছে। শুভেন্দু অধিকারীকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে নন্দীগ্রাম থেকে বের করে দেওয়া উচিত৷ কারণ, নন্দীগ্রামের মানুষের সঙ্গে অধিকারী পরিবারের কোনও সম্পর্ক নেই! এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বিজেপি বিধায়ক তথা বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য, তিনি লেভেল বুঝে কথা বলেন তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কিছু বললে উত্তর দেবেন, বাকি কেউ কিছু বললে তুমি উত্তর দেবেন না। পাশাপাশি শুভেন্দুর দাবি যে নন্দীগ্রাম আন্দোলন সম্ভব হয়েছিল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের জন্য। লাল কৃষ্ণ আডবাণী থেকে শুরু করে রাজনাথ সিং, সকলের জন্য এই আন্দোলন সম্ভব হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালের ১৪ মার্চ গণহত্যার ঘটনা ঘটেছিল নন্দীগ্রামে৷ ফের নভেম্বরে আরও একদফা গণহত্যা হয়৷ তারই জেরে ফি-বছরই ১৪মার্চের পাশাপাশি ১০ নভেম্বরও নন্দীগ্রামে শহিদ স্মরণ সভার আয়োজন করা হয় ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির উদ্যোগে৷ বুধবার নন্দীগ্রামে গোকুলনগর করপল্লীতে ভূমি উচ্ছেদ কমিটির ডাকে শহীদ স্মরণে অনুষ্ঠানে ডাক দেওয়া হয়।