সভাপতি ফিরতেই শুভেন্দুর দুর্গে বিজেপি কর্মীকে খুনের অভিযোগ শাসকের বিরুদ্ধে

সভাপতি ফিরতেই শুভেন্দুর দুর্গে বিজেপি কর্মীকে খুনের অভিযোগ শাসকের বিরুদ্ধে

ভূপতিনগর: ফের বিজেপি কর্মী খুন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর খাসতালুকে৷ গত রবিবার খুন হয়েছিলেন বিজেপির এক সক্রিয় কর্মী৷ তারই পরিবারের পাশে দাঁড়াতে শনিবার পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরে গিয়েছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার৷ তারপর ২৪ ঘণ্টাও কাটল না৷ ফের খুন হলেন আরও এক বিজেপি কর্মী।

অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে তৃণমূল আশ্রিত হার্মাদদের হাতে খুন হয়েছেন তিনি৷ ঘটনার জেরে তীব্র রাজনৈতিক উত্তেজনা ছড়িয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলাজুড়ে৷ মৃত বিজেপি কর্মীর নাম ভাস্কর বেরা (৩৫) । তার বাড়ি ভগবানপুর বিধানসভা ভুপতিনগর থানার দক্ষিণ বড়বড়িয়া গ্রামে। মৃত ভাস্কর বেদা দক্ষিণ বড়বড়িয়া বুথে বিজেপি সাধারণ সম্পাদক ছিলেন৷ বিজেপির অভিযোগ, এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতেই খুনের রাজনীতিতে নেমেছে শাসকদল৷ যদিও  এই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেতৃত্বরা।

বিজেপির অভিযোগ, শনিবার কালী পূজা উপলক্ষে ঘট উত্তোলন বেরিয়েছিলেন বিজেপি কর্মী ভাস্কর বেরা। সেখান থেকে কিছু তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বিজেপি কর্মীকে জোর করে তুলে নিয়ে যায়। গভীর রাতে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে পাকা রাস্তার পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখতে পান এলাকার বাসিন্দারা। এরপর ওই রক্তাক্ত অবস্থায় বিজেপি কর্মীকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। বিজেপি কর্মীর মৃত্যুতে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় মন্দিরে মৃতদেহ আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। ঘটনার খবর পেয়ে হাজির হয় ভুপতিনগর থানার বিশাল পুলিশবাহিনী। এলাকাবাসী ও বিজেপি সমর্থকদের দাবি অবিলম্বে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতে হবে।

কাঁথি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অসীম মিশ্র বলেন, “ভগবানপুরে তৃণমূল রক্তলীলা শুরু করেছে। বিজেপি কার্যকর্তাদের নৃশংস ভাবে হত্যা করে রক্তের হোলি খেলয় নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেস।’’ যদিও এই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেতৃত্বরা। কাঁথি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তরুণ কুমার মাইতি বলেন, ” যিনি মারা গেছেন তিনি কোনও সক্রিয় বিজেপি কর্মী ছিলেন না। তিনি মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। মদ্যপ অবস্থায় থাকার কারণে গত কয়েক বছর আগে তার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। কালীপুজো ঘট উত্তোলন যাওয়ার সময় ওই সময় তিনি মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। কেউ তাকে পিটিয়ে মেরেছে বলে মনে করছি না।’’ তাঁর দাবি, ‘‘সাধারণ মৃত্যুতেও বিজেপি রাজনৈতিক রং লাগানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। কেউ মারা গেলে তার পেছনে বিজেপি স্ট্যাম্প লাগানো হচ্ছে। পুলিশকে বলব এই ঘটনায় প্রকৃত তদন্ত করে, যদি কোন অভিসন্ধি থাকে তা খুঁজে বের করতে৷’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

17 − 4 =