ফিরহাদ সাক্ষাতের পর তৃণমূলকে এঁদো পুকুরের সঙ্গে তুলনা দিলীপের

ফিরহাদ সাক্ষাতের পর তৃণমূলকে এঁদো পুকুরের সঙ্গে তুলনা দিলীপের

কলকাতা: দল ছাড়ার জল্পনা অব্যাহত৷ বুধবারই তাঁকে দেখা গিয়েছিল বিধানসভায় শাসকদলের দু’জন মন্ত্রীর ঘরে৷ যদিও লক্ষ্মীবারের সকালে ফের সেই জল্পনায় জল ঢেলে রাজ্যের শাসক তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ শানালেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷

নাম না করে তৃণমূল দলকে ‘এঁদো পুকুরের’ সঙ্গে তুলনা করে তীব্র কটাক্ষের সুরে দিলীপ বলেছেন, ‘‘এঁদো পুকুরে ছিলেন, ওখানেই চলে যান! কমফোর্ট থাকুন! আমাদের কোনও টেনশন নেই!’’ দাবি করেছেন, ‘‘ভারতীয় জনতা পার্টি গঙ্গার মতো পবিত্র ছিল, থাকবে। অনেকে এসেছে সেই পবিত্রতাকে সহ্য করতে পারছে না।’’

এবার বেসুরোর তালিকায় প্রাক্তন সাংবাদিক প্রবীর ঘোষাল৷ সেই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে একথা বলেন দিলীপ৷ একই সঙ্গে প্রবীরকে একটুও পাত্তা না দিয়ে বলেন, ‘‘ওখানে নো এন্ট্রি বোর্ড আছে৷ এধরনের কষ্টের মধ্যে যাঁরা আছে, তারা কোথায় যাবে ঠিক করতে পারছেন না। কেউ বলেছিলেন আগে ভুল করেছিলাম৷ আবার কেউ বলছেন এখন ভুল করছেন। কে কি ভুল করেছেন আগে ঠিক করুন।’’

একই সঙ্গে সীমান্তে পরিধি বৃদ্ধির প্রসঙ্গে ফের বিএসএফের স্বপক্ষে সওয়াল করেছেন তিনি৷ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে তিন গরু পাচারকারীর মৃত্যুর ঘটনায় দিলীপের দাবি, ‘‘যারা বাংলাদেশিদের কাছ থেকে টাকা নেই, বিজনেস করে তারা চিৎকার চেঁচামেচি করেন।  বিএসএফের ভূমিকায় দেশের লোক খুশি আছে। আমাদের সিকিউরিটি নিশ্চিত করতে হবে। দেশের সুরক্ষা সব থেকে প্রথম। যারা এটা নিয়ে বিজনেস করছে তাদের কষ্ট হচ্ছে।’’

নাম না করে আক্রমণ শানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যেও৷ বুধবার মধ্যমগ্রামের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে এমএলএ এমপিদের কাজে ক্ষুব্ধ হয়ে ধমক দিতে দেখা গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীকে৷ সেই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষের প্রতিক্রিয়া, ‘‘সাধারণ মানুষ যখন ক্ষেপে যায় তখন এই ধরনের কথা বার্তা বলে উনি হোয়াইট ওয়াশ করার চেষ্টা করেন প্রত্যেকবার। কখনও কেস্টকে ধমকান, আবার বলেন ওর একটু অক্সিজেন কম! আবার ওর টাকাতে পার্টি চলে। এইধরনের নাটকবাজি দেখে দেখে বাংলার মানুষ ক্লান্ত।’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

10 − 2 =