কলকাতা: মনে করা হয়েছিল যে আগামী মাসের ১৯ তারিখ কলকাতা এবং হাওড়ায় পুরভোট সংঘটিত হবে। কিন্তু আপাতত তা নিয়ে দোলাচল সৃষ্টি হয়েছে কারণ আদালতে মামলা আছে। তবে ইতিমধ্যেই ভোটের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছিল ঘাসফুল শিবির এবং সেই প্রেক্ষিতেই মনে করা হচ্ছে যে এবার বয়স্ক এবং অসুস্থদের প্রার্থী করবে না তৃণমূল কংগ্রেস। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন। আশা করা হচ্ছে তারপরের কয়েকদিনের মধ্যেই ভোটের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে দেবে ঘাসফুল শিবির।
এমনিতেই অন্যান্য রাজনৈতিক দলের থেকে প্রার্থী তালিকা ঘোষণার ব্যাপারে তৃণমূল কংগ্রেস অনেক এগিয়ে থাকে। সেই প্রেক্ষিতে মনে করা হচ্ছে, নির্ঘণ্ট প্রকাশের পরপরই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে দেবে তারা তবে বয়স্ক এবং অসুস্থদের প্রার্থী করা হবে না। সূত্রের খবর, দলের ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরের সুপারিশ মেনেই এই সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে মমতা বাহিনী। তারা এও প্রস্তাব রেখেছে যে বয়স্ক এবং অসুস্থ কাউন্সিলরদের তুলনায় নতুন প্রার্থী দিলে সাধারণ মানুষ অনেক ভালোভাবে গ্রহণ করবে। সেই প্রেক্ষিতেই সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে শাসক শিবির। ইতিমধ্যেই পিকের প্রস্তাব মেনে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শাসক দল সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে যে নতুন প্রার্থী দেবে। এছাড়াও আর কোন কোন জায়গায় নতুন প্রার্থী দেওয়া হয় তাই এখন দেখার।
প্রসঙ্গত, আপাতত অনিশ্চিত ডিসেম্বরে পুরভোট হওয়া। আসলে গত সপ্তাহে কলকাতা হাইকোর্টে এই পুরভোট নিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন বিজেপি নেতা প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে যে, ভোট নিয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলার শুনানি যতদিন চলবে ততদিন পুরভোট সংক্রান্ত কোনও রকম বিজ্ঞপ্তি তারা জারি করবে না। তাই আপাতত অনিশ্চিত হয়ে গেল আগামী মাসের পুরভোট। তবে ঠিক কী নিয়ে মামলা দায়ের করেছেন বিজেপি নেতা? মামলার মূল বিষয়বস্তু ছিল, রাজ্যের সব পুরসভার ভোট কেন একসঙ্গে করানো হচ্ছে না। এই ইস্যুতে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ কমিশনের আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন। তার উত্তরে কমিশনের আইনজীবী জানিয়েছেন যে এই বিষয়ে তারা হলফনামা জমা দেবেন। একইসঙ্গে বলেছেন যে মামলার শুনানি চলাকালীন ভোট নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে না।