ত্রিপুরায় গ্রেফতার সায়নী, পুলিশের ভূমিকায় প্রশ্ন কুণালের! রণক্ষেত্র পরিস্থিতি

ত্রিপুরায় গ্রেফতার সায়নী, পুলিশের ভূমিকায় প্রশ্ন কুণালের! রণক্ষেত্র পরিস্থিতি

আগরতলা: ত্রিপুরার পুলিশ দলদাসে পরিণত হয়েছে৷ একেবারে খোলাখুলি বিজেপির হয়ে চামচামি শুরু করেছে বলে জোরাল অভিযোগ করলেন পশ্চিমবর্ষের শীর্ষ তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ৷ রবিবার বেলায় তৃণমূল নেত্রী সায়নী ঘোষকে আগরতলা হোটেল পোলো টাওয়ার থেকে আগরতলা পূর্ব মহিলা থানার পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে আসে৷

তারই প্রেক্ষিতে এমন অভিযোগ করে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘শনিবার রাতে আমাদের ওপর বিজেপি হামলা করল বিজেপি৷ মিটিংয়ে তার ছিঁড়ে দিল, লাইট বন্ধ করে দিল৷ নেতা, কর্মীদের মারধর করল৷ তখন পুলিশ কি করছিল? পুলিশ কি আঙুল চুষছিল নাকি?’’

পুলিশ সূত্রের খবর, কিছু দিন আগে সায়নী ঘোষ ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের  বিষয়ে  কুরুচিকর মন্তব্য করেছিলেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আজ তৃণমূল নেত্রী সায়নী ঘোষকে আগরতলা পূর্ব মহিলা থানায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হোটেল থেকে তুলে নিয়ে আসে পুলিশ৷ সঙ্গে সঙ্গে অন্য গাড়িতে করে থানায় পৌঁছান তৃণমূল মুখপাত্র কুনাল ঘোষ, তৃণমূল কংগ্রেস দলের মহিলা সাংসদ সুস্মিতা দেব, ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেস দলের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য সুবল ভৌমিক সহ অন্যান্যরা।

সেখানে ঘণ্টাখানেক জেরার পর সায়নীকে ছেড়ে দেন পুলিশ কর্তারা৷ সায়নী বেরিয়ে আসার পর কুণাল ঘোষ পুলিশকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘‘বিজেপি ভয় পেয়েছে৷ তাই ওরা আমাদের ওপর হামলা করছে৷ কিন্তু আপনারা তো সরকারি কর্মচারী৷ আপনারা কেন, ওদের হয়ে বেআইনি কাজ করে ঝামেলায় জড়াতে চাইছেন৷’’ এদিন বেলায় সায়নীকে হোটেল থেকে তুলে নিয়ে আসা নিয়ে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে৷ এবারের পুর ভোটে মানুষ এই হিংসার জবাব দেবেন বলে পরে দাবি করেন সায়নী৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five − three =