কোথায় গেল মানবাধিকার কমিশন, ত্রিপুরা ইস্যুতে জোরাল প্রশ্ন মমতার

কোথায় গেল মানবাধিকার কমিশন, ত্রিপুরা ইস্যুতে জোরাল প্রশ্ন মমতার

86734571e677559a50e5b3eea8c9361f

কলকাতা: বিজেপি শাসিত রাজ্যে গণতন্ত্রের কঙ্কালসার চেহারা সামনে আসছে বলে অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে ত্রিপুরা ইস্যুতে ফের মানবাধিকার সংগঠনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি৷

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘কোথায় গেল হিউম্যান রাইটস কমিশন? আমাদের এখানে কিছু না হলেও মিথ্যে কথা বলে৷ ফেক ভিডিও দিয়ে বাংলার নামে মিথ্যে কথা বলে বেড়াচ্ছে৷ ত্রিপুরায় অগ্নিগর্ভ অবস্থা৷ গণতন্ত্র নেই৷ কথায় কথায় খুন করা হচ্ছে৷ সেখানে গুন্ডারা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে৷ কাঠারি, বঁটি, আর্মস নিয়ে প্রকাশ্যে পুলিশের সামনে ঘুরে বেড়াচ্ছে৷ শীর্ষ আদালত নির্দেশ দেওয়ার পরও মিটিং, মিছিল করতে দেওয়া হচ্ছে না৷ নির্বাচনের নামে প্রহসন চলছে৷’’

ভোটের সময় বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডার কনভয়ে হামলার অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে উঠেছিল রাজ্য৷ সেই প্রসঙ্গ মনে করিয়ে এদিন কলকাতা থেকে দিল্লি যাওয়ার আগে নেত্রী বলেন, ‘‘নাড্ডার ল্যাজে, মানে ওই কনভয়ে কোন একটা গুন্ডা কি করেছিল সেই নিয়ে ৩৫৬, ৩৫৫ কত কি করল ওরা৷ আমরা তো কোনও বাধা দিইনি, আজকে কোথায় মানবাধিকারি সংগঠনগুলি, কোথায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক?’’

অভিযোগ করেছেন, ‘‘ত্রিপুরা ইস্যুতে ফের বিজেপি শাসিত রাজ্যে গণতন্ত্রের কঙ্কালসার চেহারাটা সামনে এসে পড়েছে। সায়নীর মতো একজন শিল্পীকেও ওরা মার্ডার কেস দিয়েছে। রাতভর থানায় আটকে রেখেছে৷ ত্রিপুরায় অত্যাচারের পর অত্যাচার করছে বিজেপি৷ বহু মানুষ আক্রান্ত, রক্তাক্ত৷ তাঁদের জিবি হাসপাতালে নিয়ে আসা হলেও চিকিৎসা পর্যন্ত করতে দেওয়া হচ্ছে না৷’’ তবে গণতান্ত্রিক পথে মানুষকে নিয়েই এর যোগ্য জবাব দেওয়া হবে বলে সাফ জানিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী৷

পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী সোমবার দুপুরে কলকাতা বিমানবন্দর থেকে দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ যাওয়ার আগে তিনি জানান, দিল্লি যাচ্ছেন মূলত বিএসএফ ইস্যু নিয়ে সওয়াল করতে৷ তাতে ত্রিপুরার প্রসঙ্গও উঠে আসবে৷ তবে মুখ্য আলোচনায় থাকবে বিএসএফের সীমান্ত ইস্যু৷ মমতার কথায়, ‘‘গায়ের জোরে এলাকা দখল করতে দেব না৷ বিএসএফ তো আর আমার শত্রু নয়৷ দেয়ার অল সো মাই ফ্রেন্ড৷ বিজেপি যেভাবে মনে করছে বিএসএফ মানে বিজেপি, বিএসএফ মানে বিজেপি সেফ৷ এটা তো ঠিক নয়৷ প্রত্যেকটা সংগঠনের তো একটা নিজস্বতা রয়েছে৷’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *