আগরতলা: তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সভানেত্রী সায়নী ঘোষ ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীকে করা কটুক্তি এবং তারই জেরে সায়নীর গ্রেফতারিকে কেন্দ্র করে রবিবার দিনভর উত্তেজনার নেপথ্যে শুধু তৃণমূল নয়৷ তাদের সঙ্গে সিপিএম ও কংগ্রেসের ছায়াজোটের ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে মনে করছে বিজেপি৷ সোমবার আগরতলার কৃষ্ণনগরে ত্রিপুরা প্রদেশ বিজেপি কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এমনটাই দাবি করেছেন গেরুয়া নেতৃত্বরা৷
বিজেপি দলের নেতা তথা ত্রিপুরার শিক্ষা ও আইনমন্ত্রী রতনলাল নাথ, বিজেপি দলের মুখপাত্র নবেন্দু ভট্টাচার্যের দাবি, ‘‘ছোট্ট পার্বত্য ত্রিপুরা রাজ্যের শান্তির বাতাবরণ নষ্ট করার জন্যই সিপিএম, কংগ্রেস এবং তৃণমূল কংগ্রেসের ছায়াজোট হয়েছে। তারাই ছোট্ট পার্বত্য ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় অস্থিরতা কায়েম করে রেখেছে।’’ একই সঙ্গে তাঁদের দাবি, ‘‘পূর্ব আগরতলা মহিলা থানা ও তৃণমূল নেতার বাড়িতে হামলার ঘটনায় বিজেপির কর্মীরা যুক্ত নন। তবুও দলীয়ভাবে সমস্ত ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’ অভিযোগ করেছেন, ‘‘ভোটের আগে বিজেপি সম্পর্কে মানুষের মধ্যে বিতৃষ্ণা ছড়াতেই তিনটি দল একত্রিতভাবে এই ষড়যন্ত্র করছে৷’’
ত্রিপুরা বিজেপি প্রদেশ কমিটির মুখপাত্র নবেন্দু ভট্টাচার্য আরো বলেন, ত্রিপুরার পরিস্থিতি উত্তপ্ত করার জন্য ক্রমাগত অপপ্রচার চলছে। মিথ্যা গুজব রটিয়ে সাম্প্রদায়িক অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা হচ্ছে। অসত্য খবর সারা দেশে প্রচার করে তৃণমূল কংগ্রেস রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে চাইছে। কারন,রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক শক্তি গড়ে উঠেনি। তা সত্ত্বেও পশ্চিমবঙ্গে অরাজকতা ঢাকতে ত্রিপুরাকে তৃণমূল কংগ্রেস নিশানা করেছে। অন্যদিকে আগরতলা পশ্চিম মহিলা থানায় সায়নীর সঙ্গে এদিন দেখা করলেন পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র কুনাল ঘোষ, দলের মহিলা সাংসদ সুস্মিতা দেব। কুনাল ঘোষ বলেন, ত্রিপুরাতে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের উপর, সাংবাদিকদের উপর বিজেপির লোকরা আক্রমণ সংগঠিত করছে৷ কিন্তু ত্রিপুরা পুলিশ এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করেনি। ত্রিপুরাতে গণতন্ত্র বলে কিছু নেই৷ একই সঙ্গে তাঁর দাবি, ‘‘পুলিশকে পরিকল্পিতভাবে বলির পাঁঠা করা হচ্ছে৷ সবটাই হচ্ছে বিজেপি দলের নির্দেশে৷’’