কলকাতা: ত্রিপুরা ইস্যুতে সরব তৃণমূল৷ পাল্টা সরব বিজেপিও৷ সাত সকালে প্রথমে প্রাত:ভ্রমণ এবং পরে দলীয় চা-চক্রের অনুষ্ঠান থেকে রাজ্যের শাসক তৃণমূল এবং দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘স্টেডিয়ামে ৫০ হাজার লোক ক্রিকেট ম্যাচ দেখতে পারে, আমাদের ৫০জনকে রাস্তায় মিছিল করতে দেওয়া হয় না৷ এটাই তো পশ্চিমবঙ্গের গণতন্ত্রের হাল৷ ওরা (তৃণমূল) আবার বাইরে গিয়ে বড় বড় কথা বলে!’’
নিউটাউনের একশন এরিয়া ওয়ানের এই(AE) ব্লকে আজ সকালে চা চক্রে আসেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল। সেখানে ব্রাত্য বসুর ত্রিপুরা যাওয়া প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘ত্রিপুরা, গোয়া সব জায়গায় যান। কিন্তু বাংলার মুখ পুড়িয়ে না আসেন। যে ধরনের ওরা ওখানে ব্যবহার করছে বাঙালির মাথা নত করে দিচ্ছেন। বাংলার কৃষ্টি কালচারের সর্বনাশ করে দিচ্ছেন আমরা আবেদন করব, খেলাটা এখানে খেলছেন খেলুন, সব জায়গায় খেলা খেলতে যাবেন না৷ খেলা উল্টো হয়ে যাবে।’’
দিল্লিতে তৃণমূলের ধর্ণা প্রসঙ্গেও তীব্র কটাক্ষ ছুঁড়েছেন দিলীপ, ‘‘দুটো ঢিল পড়েছে তাতে নাকি দিল্লিতে রাষ্ট্রপতির কাছে যাবে! আর যদি একটু বাড়াবাড়ি হয়, তাহলে কি ইয়োনোতে যাবেন! সেটা ভেবে দেখুন!’ ঘটনাচক্রে এদিন সাত সকালে নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমনে আসেন দিলীপ ঘোষ৷ আর সেখান থেকেই খেলা হবে গেঞ্জি পরে হেঁটে যাচ্ছিলেন তৃণমূল কর্মীরা। যাওয়ার সময় তৃণমূলের তরফ থেকে দিলীপ ঘোষের উদ্দেশ্যে গুড মর্নিং বলা হয়৷ পাল্টা হিসেবে দিলীপ ঘোষও জানান, গুড মর্নিং। দিলীপবাবু তৃণমূল কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আসা বন্ধ করবে, না আসতে থাকবে। তৃণমূলের তরফ থেকে সরাসরি কোনও উত্তর না দিয়ে কটাক্ষের সুরে বলা হয়, ‘‘এই ভাবে ত্রিপুরা কাপ জেতা যাবে?’’ দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘দেখা যাক।’
তৃণমূলের তরফ থেকে ঠিক তখনই দিলীপকে ব্যঙ্গ করে বলা হয়, ‘‘এই ভাবে গরুর দুধে সোনা পেলেই হবে!’’ যার জবাবে হাসতে দেখা যায় দিলীপ ঘোষকে৷ নিন্দুকেরা আগেই বলেছিলেন, ইকোর্পাকে দিলীপদার শরীর চর্চ্চাতেও বোধহয় হাত বসানো শুরু করল তৃণমূল৷ স্বয়ং দিলীপ ঘোষের মুখে এবিষয়ে আশঙ্কার কথা শোনার পর ফের নতুন করে শুরু হয়েছে চর্চ্চা৷