কাঁথি: ত্রিপুরায় সাংবাদিক বৈঠক করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন তুলেছিলেন যে সেই রাজ্যে তৃণমূলের ওপর যেভাবে হামলা হচ্ছে, সেই রকম কোনও হামলা বাংলার বিজেপি নেতাদের ওপর হচ্ছে কিনা। এই মন্তব্যের কয়েক ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুরে শুভেন্দু অধিকারীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটলো! অভিযোগের তীর অবশ্যই তৃণমূলের দিকে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে অশালীন মন্তব্য করার পাশাপাশি প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠছে। একই সঙ্গে বিধায়কের গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয় বলেও দাবি করা হচ্ছে বিজেপির তরফে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় সরগরম গোটা এলাকা।
ত্রিপুরায় পুরভোটের প্রচারে গিয়ে গ্রেফতার হয়েছিলেন যুব নেত্রী সায়নী ঘোষ। সেই ঘটনা নিয়ে উত্তেজনা বহাল ছিল গতকাল রাত পর্যন্ত। তারপরেই পূর্ব মেদিনীপুরের মারিসদায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটলো। অভিযোগ, স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের নির্দেশে কমপক্ষে ৭০ জন শুভেন্দু অধিকারীর গাড়ির উপর হামলা করে। তার পাশাপাশি বিধায়ককে অশালীন মন্তব্য করা হয় এবং একই সঙ্গে কুরুচিকর অঙ্গভঙ্গি করে তাঁকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয় বলে দাবি করছে বিজেপি শিবির। তাদের স্পষ্ট অভিযোগ যে, ত্রিপুরার ঘটনার বদলা নিতেই এমন হিংসাত্মক ঘটনা ঘটাচ্ছে রাজ্যের শাসক দল। পাশাপাশি তারা আরও অভিযোগ করছে যে এই ঘটনায় পুলিশ নীরব দর্শক হয়ে ছিল।
ইতিমধ্যেই শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। যদিও তৃণমূল শিবির থেকে বলা হচ্ছে যে বিজেপি যে অভিযোগ করছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যে। সায়নী ঘোষের গ্রেফতারের ঘটনায় মিছিল করছিল শাসক দলের কর্মীরা এবং তাদের সামনে দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী যাওয়ায় খানিক উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিবেশ কিন্তু গাড়িতে হামলা বা প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে একেবারে ভিত্তিহীন।