কলকাতা: করোনা আবহে দীর্ঘদিন পর খুলেছে স্কুল৷ কিন্তু স্কুল খুলতেই শিক্ষিকাদের পোশাক নিয়ে বিতর্ক শুরু হয় দক্ষিণ ২৪ পরগণার সোনারপুরে৷ অভিভাবকদের দাবি, শাড়ি পরেই স্কুলে আসতে হবে শিক্ষিকাদের৷ স্কুল কর্তপক্ষ তাতে সম্মত হওয়ায় বিতর্ক দানা বাধে৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে সোমবার তড়িঘড়ি বৈঠক ডেকে বিতর্ক মেটায় স্কুল কর্তৃপক্ষ৷ শালীনতা বজায় রেখে পোশাক পরার অনুমতি দেওয়া হয় শিক্ষিকাদের৷
আরও পড়ুন- ফেরিওয়ালার মিহিদানা খেয়ে অসুস্থ শতাধিক শিশু, মুর্শিদাবাদে তীব্র আতঙ্ক
গত মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস৷ স্কুল খুলতেই পোশাক বিতর্ক৷ দাবি ওঠে, শিক্ষিকাদের শুধুমাত্র শাড়ি পরেই স্কুলে আসতে হবে৷ পরা যাবে না অন্য কোনও পোশাক৷ সোনারপুরের বলরাম মন্মথনাথ বিদ্যামন্দিরে এহেন নির্দেশিকা ঘিরে তৈরি হয় বিতর্ক৷ জানা গিয়েছে, গত ১৬ নভেম্বর স্কুল খোলার পরেই স্কুলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে শিক্ষিকাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে একটি মেসেজ পাঠানো হয়৷ সেখানে অভিভাবকদের দাবির কথা উল্লেখ করে শিক্ষিকাদের শাড়ি পরে আসার জন্য অনুরোধ করে স্কুল কর্তৃপক্ষ৷ প্রধান শিক্ষকের কথায়, শিক্ষিকারা স্কুলে চুরিদার লেগিন্স পরায় তাঁর কাছে লিখিত ভাবে অভিযোগ জানিয়েছেন অভিভাবকরা৷ অশান্তি এড়াতে শিক্ষিকাদের নির্দেশ, শাড়ি পরে স্কুলে আসতে হবে৷
প্রধান শিক্ষক সৈয়দ ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ২০২০ সালে লকডাউন ঘোষণার সময় শিক্ষিকারা এসে বলেছিলেন, এখন তো আর পড়ুয়ারা আসছেন না, তাই আমরা শাড়ির পরিবর্তে সালোয়ার পরে আসি? কিন্তু স্কুল খোলার পরেই কিছু অভিভাবক এ নিয়ে অভিযোগ জানান৷ প্রধান শিক্ষক বলেন, স্কুলের শিক্ষিকাদের জন্য তেমন কোনও ড্রেস কোড নেই৷ তবে শালীনতা বজায় রেখে পোশাক পরাটা জরুরি৷ অভিভাবকদের অভিযোগ, শিক্ষিকারা এই ধরনের পোশাক পরলে ছাত্রীরা কী শিখবে?
এই পরিস্থিতিতে সোমবার স্কুলে বৈঠক হয়৷ প্রশাসনিক প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতেই বেড়িয়ে আসে সমাধানসূত্র৷ রুহিক আয়না নামে এক শিক্ষিকা বলেন, বৈঠকে ঠিক হয়েছে আমরা শালীনতা বজায় রেখে পোশাক পরতে পারি৷ রুচি সম্মত পোশাকই পরা হবে৷