কলকাতা: এসএসসি গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ। তিন সপ্তাহের জন্য স্থগিতাদেশের নির্দেশ৷ অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চের৷ আগামী সোমবার পরবর্তী শুনানি৷
আরও পড়ুন- পুলিশে ভরসা নয় কেন? SSC-র গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতিতে CBI তদন্তের বিরোধিতা রাজ্যের
এদিকে, এসএসসি গ্রুপ ডি দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের বদলে প্রাক্তন বিচারপতিদের নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে অনুসন্ধানের পক্ষে ডিভিশন বেঞ্চে জোড় সওয়াল করেছে রাজ্য। অন্যদিকে, যে ২৫ জনের বেতন বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তাঁদের পক্ষের আইনজীবী শক্তি মুখোপাধ্যায় বলেন, একক বিচারপতির সিদ্ধান্ত দুঃখজনক। আমার মক্কেলদের বেতন বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
এই বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি বলেন, এটা কী করে সম্ভব? বেতন বন্ধ তো অথরিটি করবে। আপনারা কোনও চ্যালেঞ্জ করেননি? আইনজীবী শক্তি মুখোপাধ্যায় বলেন, আদালতের নির্দেশেই বেতন বন্ধ হয়েছে৷ আমরা জানতামই না। সংবাদমাধ্যম সূত্রে জেনেছি।
বিচারপতি ট্যাণ্ডন বিকাশ ভট্রাচার্যকে প্রশ্ন করেন, এই ধরনের তদন্তের অনুমতি দেওয়ার আগে কি প্যারামিটার মাথায় রাখতে হবে? মামলা দীর্ঘ দিন ধরে চললে সমস্ত নথিপত্র বিকৃত করা হতে পারে বলে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য৷
অন্যদিকে সিবিআই তদন্ত খারিজ করার আবেদনে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের পাল্টা প্রশ্ন, গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে অনুসন্ধান করালে সরকারের সমস্যা কোথায়? জবাবে এজি বলেন, উত্তর প্রদেশ লখিমপুর খেরীর ঘটনায় সুপ্রিমকোর্টও সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিতে পারত৷ কিন্তু দেয়নি৷ নিজের যুক্তির সপক্ষে আরও পাঁচটি বিষয় তুলে ধরেন তিনি৷ এজি বলেন, রাজ্যের দক্ষ পুলিশ অধিকারিকরা থাকা সত্বেও রাজ্যের ওপর আস্থা রাখা হয়নি। এই মামলায় সিবিআই তদন্তের কোনও প্রয়োজন ছিল না।একমাত্র নজিরবিহীন ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়ে থাকে৷