কলকাতা: দেশের এবং পশ্চিমবঙ্গের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে তুলনামূলক নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে দেখা যাচ্ছে। কিন্তু অনেক আগে অনুমান করা হয়েছিল যে উৎসব মরসুমে এবং বিয়ের অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাবে। এদিকে আবার চালু করা হয়েছে লোকাল ট্রেন। কিন্তু এই সময় যেমন আশঙ্কা করা হয়েছিল তেমন সংক্রমণে বৃদ্ধির লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। এর সব থেকে বড় কারণ হল রাজ্যে করোনাভাইরাস পরীক্ষা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে পুজোর পরেই। কেন এই সিদ্ধান্ত বা এখন এই ব্যাপারে কী করা উচিত সেই ব্যাপারে পরামর্শ দিয়ে রাজ্যকে চিঠি পাঠালো কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য দফতর।
করোনাভাইরাস পরীক্ষা কমিয়ে দেওয়ার জন্য এখন দেশে বা রাজ্যগুলিতে সঠিক ভাইরাস পরিস্থিতির তথ্য সামনে আসছে না। অবশ্যই এতে আশঙ্কার জায়গা রয়েছে কারণ বিশ্বের অন্যান্য দেশে এই সময়ে ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ। কিন্তু এখানে পরীক্ষা কমিয়ে দেওয়ার ফলে সংক্রমণ কম হচ্ছে বলেই ধারণা করে ফেলছে অনেকে যা অনেকাংশে ভুল। সঠিক মাত্রায় করোনাভাইরাস পরীক্ষা না হলে বোঝা সম্ভব নয় যে আদতে কতজন ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন। আর এই ভাবে পরীক্ষা কম হওয়ার কারণে দৈনিক সংক্রমণ কম হবে যা মানুষের মধ্যে ভুল ধারণা তৈরি করবে যে আশঙ্কাজনক পরিস্থিতি আর নেই। ফলে পরবর্তী সময়ে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাবার সম্ভাবনা প্রবল। সেই প্রেক্ষিতেই বাংলা সহ দেশের ১৩ টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই তালিকায় রয়েছে সিকিম থেকে শুরু করে মহারাষ্ট্র, মনিপুর, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, কেরল, গোয়া, মিজোরাম, লাদাখ, রাজস্থান, পঞ্জাব এবং জম্মু-কাশ্মীর।
এই মুহূর্তে বিদেশি নাগরিকদের যাতায়াতে বেড়েছে দেশে এবং একই সঙ্গে বিবাহের মরসুম শুরু হয়েছে। সেই প্রেক্ষিতে ভাইরাস পরীক্ষা কমিয়ে দেওয়া হলে সঠিক তথ্য একেবারেই পাওয়া যাবে না। এখন করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও তা সামনে আসবে না। সেটাই উদ্বেগের কারণ হয়ে যাবে পরবর্তী সময়ে। এমনটাই মনে করছে কেন্দ্রীয় সরকার।