পড়ুয়াদের মাসে মাসে টাকা দেবে রাজ্য! আবেদন পদ্ধতি অনেক সহজ

পড়ুয়াদের মাসে মাসে টাকা দেবে রাজ্য! আবেদন পদ্ধতি অনেক সহজ

440d01a8769b8667f6a5d8873693506c

কলকাতা: স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ মারফত পড়ুয়ারা মাসে মাসে টাকা পান রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। সেই আবেদন প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে এবং আগের থেকে আরো বেশি সুবিধা পেতে চলেছেন পড়ুয়ারা। এই স্কলারশিপের মাধ্যমে প্রতি মাসে পড়ুয়াদের টাকা দেয় পশ্চিমবঙ্গ সরকার। গত ১৬ নভেম্বর থেকে অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া চালু হয়েছে এবং আবেদনের প্রক্রিয়া আগের থেকেও অনেক বেশি সহজ। এদিকে সরকার আগেই জানিয়েছিল যে মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিকে ৬৫ শতাংশ নম্বর পেলেই এই স্কলারশিপের আবেদন জানানো যাবে যা আগে জানাতে গেলে ন্যূনতম ৭৫ শতাংশ পেতে হত।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে এই প্রকল্প শুরু হয়।  রাজ্য সরকারের বিবেকানন্দ স্কলারশিপ প্রকল্পের আওতায় উচ্চমাধ্যমিক থেকে স্নাতকোত্তর পর্যন্ত পড়ুয়াদের বৃত্তি দেওয়া হয়। উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে বৃত্তির পরিমাণ প্রতি মাসে ১ হাজার টাকা। স্নাতক স্তরে মাসিক ১ হাজার ৫০০ টাকা। স্নাতকোত্তর স্তরে কলা এবং বাণিজ্য বিভাগের পড়ুয়াদের মাসিক ২ হাজার টাকা এবং বিজ্ঞান ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের ছাত্র-ছাত্রীদের মাসে আড়াই হাজার টাকা করে স্কলারশিপ দেওয়া হয়। ইঞ্জিনিয়ারিং ও মেডিক্যাল স্নাতক স্তরে মাসে দেড় হাজার এবং স্নাতকোত্তর স্তরে ৫ হাজার টাকা করে বৃত্তি দেয় রাজ্য সরকার। এছাড়াও এমফিল-এর জন্য মাসে পাঁচ হাজার টাকা এবং পিএইচ. ডি-র জন্য মাসে আট হাজার টাকা। পলিটেকনিকের পড়ুয়ারা পাবেন প্রতি মাসে দেড় হাজার টাকা।  

সম্প্রতি স্কলারশিপ ২০২১ অনলাইন পোর্টালের উদ্বোধন করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু৷ পোর্টালের উদ্বোধন করে তিনি জানান, এখনও পর্যন্ত এই প্রকল্পের আওতায় মোট ৭ লক্ষ ৬২ হাজার ৮৫৮ কোটি টাকার স্কলারশিপ দেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, চলতি বছর ৭ অক্টোবর থেকে বিবেকানন্দ স্কলারশিপের জন্য অনলাইন আবেদন শুরু হয়েছে। আগামী বছর ১৫  ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আবেদন করা যাবে। মার্চ মাসে ছাত্রছাত্রীদের বৃত্তির টাকা দেবে রাজ্য সরকার।

এই বৃত্তির জন্য অনলাইনে আবেদন করতে রাজ্য সরকারের ওয়েবসাইট (www.svmcm.wbmdfc.co.in)-এ যান। বৃত্তি পেতে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এরপর বেছে নিতে হবে সংশ্লিষ্ট কোর্স। তারপর জন্মের শংসাপত্র, শেষ পরীক্ষার অ্যাডমিট, মার্কশিট, আধার কার্ড,  পারিবারিক আয়ের শংসাপত্র স্ক্যান করে দিতে হবে। এছাড়া ব্যাঙ্কের যাবতীয় তথ্য এবং সংশ্লিষ্ট আবেদনকারী নতুন যে কোর্সে ভর্তি হয়েছেন তার রসিদও জমা করতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *