ত্রিপুরা ভোটের ভবিষ্যৎ আউড়ে এ কী বললেন দিলীপ?

ত্রিপুরা ভোটের ভবিষ্যৎ আউড়ে এ কী বললেন দিলীপ?

বাঁকুড়া: রাত পোহালেই ত্রিপুরার পুর নির্বাচন৷ ইতিমধ্যেই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গত দেড় মাস ধরে তপ্ত ত্রিপুরার রাজনৈতিক মাটি৷ যদিও ভোটের আগেই ত্রিপুরার ফলাফলের ভবিষ্যৎ বাতলে দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷

বিজেপি শাসিত ত্রিপুরায় পৌরভোট প্রসঙ্গে প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘‘নাইদার রাইট, নো লেফ্ট গো স্টেট বিজেপি। পদ্ম ফুলের সঙ্গে ত্রিপুরা আছে ও থাকবে৷’’ খানিক থেমে যোগ করেছেন, ‘‘ফল প্রকাশ হলেই মিলিয়ে নেবেন, ত্রিপুরার মানুষ কাদের সঙ্গে রয়েছে৷’’ এরপরই তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ করে দিলীপের বচন, ‘‘’তৃণমূল এখন বৃদ্ধাবাসে পরিনত হয়েছে!’’

কেন একথা বলছেন, তাঁর ব্যাখ্যাও দিয়েছেন দিলীপ, ‘‘বিভিন্ন দল থেকে ‘রিজেক্টেড ও রিটায়ার্ড’ ব্যক্তিরাই ওই দলে যোগ দিচ্ছেন। কোন ‘সৎ লোক, কাজের লোক’ ওখানে যাবেন না।’’ সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে ‘হেভিওয়েট’ নেতারা তৃণমূলে নাম লেখানো প্রসঙ্গে এই মন্তব্য করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বুধবার দলীয় কর্মসূচীতে যোগ দিতে বাঁকুড়ার সোনামুখীতে এসেছিলেন৷ সেখানে পুলিশ মাঝপথে মিছিল আটকে দেয়৷ ক্ষুব্ধ দিলীপ পুলিশকে ‘শাসকের দলদাস’আখ্যা দিয়ে বলেন, ‘‘বাংলার এক নায়কতন্ত্র চলছে৷ তৃণমূলের মিছিলে অনুমতি মেলে, আমরা করলে পুলিশ শাসকের হয়ে দালালি করে সেই মিছিল আটকে দেয়৷’’ 

এসএসসি, গ্রুপ-ডি মামলা ও তার জেরে হাইকোর্টের সিবিআই তদন্তের নির্দেশ ও পরে এদিন ডিভিশন বেঞ্চের বেঞ্চের স্থগিতিদেশ প্রসঙ্গ টেনে বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি বলেন, ‘‘আদালতের নির্দেশ মানতে হবে। কিন্তু এই সরকারের উপর মানুষের বিশ্বাস নেই৷ তাদের তদন্তের উপর বিশ্বাস নেই৷ সরকারের তৈরি কমিশনের রিপোর্টে প্রকাশ্যে আসে না, সেই জন্য হতাশ হয়ে মানুষ আদালতে যাচ্ছে। অথচ এরা আদালতের নির্দেশও মানে না৷’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *