চিনের ক্ষেপনাস্ত্র শিল্পের আকাশে সঙ্কটের মেঘ

চিনের ক্ষেপনাস্ত্র শিল্পের আকাশে সঙ্কটের মেঘ

বেজিং: চিনা আর্মি অর্থাৎ পিপলস লিবারেশন আর্মির রকেট ফোর্স (পিএলআরএফ) বরাবরই ব্যালেস্টিক মিসাইল সহ সূক্ষ্ণ, আধুনিক অস্ত্রসস্ত্র ও পারমাণবিক অস্ত্র রাখার দাবি করে এসেছে৷ বি বিস্তারবাদী নীতিতে বিশ্বাসী ড্রাগনরা তাদের সেনা বাহিনীকে শক্তিশালী করতে তাদের বহরে আধুনিক অস্ত্রসস্ত্র অন্তর্ভুক্ত করেছে৷ বেশ কিছু ক্ষেত্রে চিন তাদের প্রভাব বিস্তার করতেও সক্ষম হয়েছে৷ কিন্তু সম্প্রতি জানা গিয়েছে, চিনের ক্ষেপনাস্ত্র শিল্পের আকাশে সঙ্কটের মেঘ ঘনিয়েছে৷ 

আরও পড়ুন- গোপনে বিয়ে প্রধানমন্ত্রীর! প্রকাশ্যে এল নব-দম্পতির ছবি!

ব্যালেস্টিক মিসাইলের প্রশ্নে দেখা গিয়েছে, চিন উদ্ভাবনী শক্তি হিসাবে উঠে আসতে পারেনি৷ এমনকী চিন অবিরাম শক্তি নয়, যা গোটা বিশ্বকে ভাবিয়ে তুলবে৷ তবে চিনের হাতে বেশ কিছু শক্তিশালী অস্ত্র রয়েছে৷ লাল ফৌজের হাতে থাকে কিছু মারাত্মক অস্ত্র হল ডিএফ-২১, অ্যান্টি-শিপ ব্যালিস্টিক মিসাইল, ডিএফ -২৬, ইন্টারমিডিয়েট রেঞ্জ ব্যালিস্টিক মিসাইল এবং ডিএফ- ৪১ আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক মিসাইল৷ চিনের বিদেশ নীতির জেরে অন্যান্য দেশের সঙ্গে তাদের দ্বন্দ্ব অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে৷ যার জেরে চিনা সেনাবাহিনীর আধুনিকীকরণে বিপুল অর্থ ব্যয় করতে হয়েছে৷ তবে অনেকেই জানেন না যে চিন তার অভ্যন্তরীণ সুরক্ষার জন্য নিজের সেনাবাহিনীর চেয়েও বেশি খরচ করে থাকে৷ ভারত বা মার্কিন সেনাকে চিনা কমিউনিস্ট পার্টি যতটা না ভয় পায়, তার চেয়ে অনেক বেশি ভয় পায় অভ্যন্তরীণ বিরোধে৷ 

এদিকে পিএলএআরএফ ব্রিগেডের বৃদ্ধি যথেষ্ট ত্বরাণ্বিত হয়েছে৷ ২০১৭ সালে যেখানে ২৯টি ব্রিগেড ছিল, সেখানে ২০২০-র ফেব্রুয়ারিতে ৪০টি ব্রিগেড গড়ে উঠেছে৷ বেড়েছে ক্ষেপনাস্ত্র পরীক্ষার সংখ্যাও৷ মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৯ সালে চিন পরীক্ষা এবং প্রশিক্ষণের জন্য আরও বেশি করে ব্যালিস্টিক মিসাইল উৎক্ষেপণ করেছে৷’’ তা সত্বেও চিনা সেনাবাহিনীর ক্ষমতা বৃদ্ধি নিয়ে চিনা প্রোপাগান্ডা ছাড়িয়ে আসল সত্যটা হল পিএলএ-র কিছু সাংগঠনিক ও প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা রয়েছে৷ যা ব্যালিস্টিক মিসাইলের বিকাশের ক্ষেত্রকে বাধা দিয়েছে৷ 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five + 7 =