গর্বিত বাংলা! UNESCO-র হেরিটেজ তকমা পেল বাংলার দুর্গাপুজো

গর্বিত বাংলা! UNESCO-র হেরিটেজ তকমা পেল বাংলার দুর্গাপুজো

af37ab83cae9293559d611abb9a57481

কলকাতা:  বাংলা ও বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপুজো৷ এবার বাংলার দুর্গাপুজো ইউনেস্কোর হেরিটেজ তকমা পেল৷ মানবতার দুর্গাপুজোকে অননুভবনীয় সাংস্কৃতিক হেরিটেজ তকমা দেওয়া হয়েছে৷ জতি, ধর্ম নির্বিশেষে সকলে দুর্গা পুজোয় মেতে ওঠে মানুষ৷ দুর্গা পুজোয় থাকে না কোনও ভেদাভেদ, দূরত্ব৷ ধর্ম ও শিল্পের মেলবন্ধনেই এই হেরিটেজ তকমা৷ বাংলার ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, শিল্প, পরম্পরাকে স্বীকৃতি দিল ইউনেস্কো৷ যা বাংলার কাছেও অত্যন্ত সম্মানের৷ বুধবার বিকেলে ইউনেসকোর তরফে জানানো হয়, বাংলার দুর্গাপুজোকে ইনট্যানজিবেল হেরিটেজ অফ হিউম্যানিটির তালিকায় যুক্ত করা হল।

আরও পড়ুন- ওমিক্রন নিয়ে বার্তা মমতার, কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী?

দীর্ঘদিন ধরে বাংলার শিল্পীমহল দুর্গোৎসবে কাজ করছেন৷ কলকাতার গন্ডি ছাড়িয়ে গোটা রাজ্যে দুর্গাপুজো হচ্ছে৷ এটা শুধু একটা ধর্মীয় দিক নয়, এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে উৎসব৷ জড়িয়ে রয়েছে শিল্প চর্চা৷ একটা ধর্মীয় অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে মিলিত হচ্ছেন শিল্পীরা৷ শিল্পমাধ্যমের যে বিকাশ, মেলবন্ধন ঘটছে সব কিছুর মিলিত ফলশ্রুতি এই হেরিটেজ তকমা৷ ইউনেস্কোর বর্ণনায় দুর্গা পুজো ১০ দিনের ধর্মীয় উৎসব৷ যেখানে ধর্ম ও শিল্পের মেলবন্ধন হয়৷ কী ভাবে গঙ্গা থেকে মাটি নিয়ে প্রতিমা তৈরি করা হচ্ছে, ১০ দিনের দিন তা বিসর্জন দেওয়া হচ্ছে, এই সমস্ত বিষয় ইউনেস্কোর বর্ণনায় উঠে এসেছে৷ আর এর সঙ্গে উঠে এসেছে শিল্প চর্চার কথা৷ 

এ প্রসঙ্গে শিক্ষাবিদ নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ি বলেন, এই খবরে খুবই উচ্ছ্বসিত৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার আসার পর দুর্গা পুজোর প্রতি বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে৷ উনি বুঝতে পেরেছিলেন এর অন্য মাধুর্য রয়েছে৷ যা মানুষের মহাসভায় রা পড়বে৷ হেরিটেজ পুজো বেছে নেওয়ার দায়িত্বে থাকা নৃসিংহপ্রসাদ বলেন, কার্নিভালে দেখেছি, কী ধরনের উন্মাদনা হতে পারে৷ একটা ঐশ্বরিক ভাবনাকে আমরা মর্তে নিয়ে এসেছি৷   

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *