গঙ্গাসাগর: হাতে মাত্র আর কয়েকদিন৷ তারপরেই শুরু হতে চলেছে গঙ্গাসাগর মেলা। গঙ্গাসাগর মেলা অবাধ ও শান্তিপূর্ণভাবে পরিচালনা করতে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন আধিকারিকদের সঙ্গে প্রশাসনিক বৈঠক সেরে নিয়েছে জেলা প্রশাসন। গঙ্গাসাগর মেলাকে পরিবেশবান্ধব মেলা হিসেবে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে বিশেষ জোর দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
গঙ্গাসাগর মেলাকে প্লাস্টিক মুক্ত করতে শনিবার গঙ্গাসাগর সমুদ্র সৈকত সংলগ্ন এলাকায় প্রশাসনের তরফ থেকে প্লাস্টিক সাফাই অভিযান করা হল। এই সাফাই অভিযানে উপস্থিত ছিলেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রীর বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা, সাগরের বিডিও সুদীপ্ত মণ্ডল, গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান হরিপদ মন্ডল ও ভারত সেবাশ্রম মহারাজ।
প্রতিবছর গঙ্গাসাগর মেলা উপলক্ষে কপিলমুনির পুণ্যস্থানে সমাগম ঘটে লক্ষ্য লক্ষ্য পুণ্যার্থীর। পুজোর সামগ্রিক জিনিসপত্র থেকে শুরু করে অন্যান্য বিশেষ কাজে পুণ্যার্থীরা প্লাস্টিকের তৈরি বিভিন্ন জিনিসপত্র ব্যবহার করে। ব্যবহার শেষে পুণ্যার্থীরা ব্যবহৃত প্লাস্টিক যত্ত তত্রও ফেলে রেখে চলে যায়। পরে এই প্লাস্টিক সমুদ্র সৈকত থেকে সাগরে গিয়ে মেশে। প্লাস্টিকের ফলে ক্রমাগত দূষণের গ্রাসে চলে যাচ্ছে গোটা এলাকা।
গঙ্গাসাগর মেলা প্রাঙ্গণ প্ল্যাস্টিক থেকে দূষণমুক্ত করতে এবছর গঙ্গাসাগর মেলাকে প্লাস্টিক বর্জন মেলা হিসেবে চিহ্নিত করেছে জেলা প্রশাসন। ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সমুদ্র সৈকত থেকে মন্দির প্রাঙ্গণ পর্যন্ত যে সমস্ত ব্যবসায়ীরা আছে তাদেরকে প্লাস্টিক বর্জন করে বিশেষ ধরনের কাগজের তৈরি ব্যাগ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই বন্টন করা শুরু হয়েছে। এদিন সকালে সমুদ্র সৈকত মন্দির প্রাঙ্গণে ঝাঁটা হাতে গঙ্গাসাগর সাফাই অভিযানে হাত লাগান সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা ও সাগরের বিডিও সুদীপ্ত মণ্ডল।
সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা বলেন, ‘‘গঙ্গাসাগর মেলা ২০২২ পরিবেশবান্ধব মেলা ও প্লাস্টিক বর্জন মেলা হিসেবে ইতিমধ্যে চিহ্নিত করেছে জেলা প্রশাসন। প্রশাসনিকস্তরে কয়েকটি বৈঠকও হয়েছে এনিয়ে। সমুদ্র সৈকত থেকে মেলা প্রাঙ্গণ পর্যন্ত কোনওরকম প্লাস্টিকের তৈরি ব্যাগ ব্যবহার করা যাবে না। ইতিমধ্যেই বহু ব্যবসায়ীদের বিশেষ ধরনের কাগজের ব্যাগ প্রদান করা হয়েছে ও আগামী দিনে আরও করা হবে।’’