সান ফ্রান্সিসকো: সান ফ্রান্সিসকো চিড়িয়াখানার দীর্ঘদিনের বাসিন্দা আমেরিকার সবচেয়ে প্রবীণ শিম্পাঞ্জির মৃত্যু হল শনিবার ৷ চিড়িয়াখানার তরফে জানানো হয়, বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর ৷ বার্ধক্যজনিত কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে ৷
সবার প্রিয় শিম্পাঞ্জিটির নাম ছিল কোবি এবং ডাক নাম পাপা৷ তার মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত চিড়িয়াখানার কর্মীরা ৷ ওই চিড়িয়াখানার প্রশাসনিক পরিচালক তন্যা এম পিটারসন বলেন, ‘কোবি সান ফ্রান্সিসকোর অংশ ছিল৷ কোবির জায়গা কেউ নিতে পারবে না, তা অপূরণীয় এবং আমাদের সকলেরই হৃদয় ভেঙে গিয়েছে ৷’ চিড়িয়াখানার সকলেই তাকে খুব মিস করছে৷ কোবি চিড়িয়াখানায় বয়সে সবচেয়ে বড় হওয়ায় বেশ সম্মান পেত এবং নতুন আগত চিম্পসদের ভালো মেন্টর ছিল৷ এই চিড়িয়াখানায় কোবি আসার আগে ১৯৬০ সালের মাঝামাঝি তিনটি মেয়ে শিম্পাঞ্জি ছিল৷ কোবি ছিল মানুষের দ্বারা প্রতিপালিত৷ ফলে চিড়িয়াখানার কর্মীদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে তার৷ তার জন্য চিড়িয়াখানায় ঘুরতে আসা পর্যটকদের সংখ্যা বেড়েছিল৷
সম্প্রতি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অফ নেচারের তরফে একটি তালিকা প্রকাশিত হয় ৷ সেই তালিকায় বিপন্ন প্রাণীদের তালিকায় স্থান পেয়েছে শিম্পাঞ্জিরা৷ পাশাপাশি একটি রিপোর্টও পেশ করা হয় ৷ সেই রিপোর্টে বলা হয়, গোটা বিশ্বে আর মাত্র এক থেকে দু’লক্ষের মতো শিম্পাঞ্জিই বেঁচে আছে৷ পশু বিশেষজ্ঞদের মতে, যে সব শিম্পাঞ্জিরা বনে থাকে, তাদের গড় আয়ু হয় ৩৩ বছর ৷ কিন্তু চিড়িয়াখানায় বা মানুষের যত্নে লালিত পালিত শিম্পাঞ্জিদের গড় আয়ু প্রায় দ্বিগুণ হয় ৷ প্রায় ৫০ থেকে ৬০ বছর পর্যন্ত তারা বেঁচে থাকে৷ পশু বিশেষজ্ঞদের ধারণার চেয়েও বেশি দিন বেঁচেছিল কোবি৷ সান ফ্রান্সিসকো চিড়িয়াখানার সূত্রে জানা গিয়েছে, ৬৩ বছর পৃথিবীতে ছিল কোবি ৷ এপ্রসঙ্গে চিড়িয়াখানার প্রশাসনিক পরিচালক জানান, কোবির মৃত্যুতে চিড়িয়াখানায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে৷ সকলেরই মন খারাপ৷