প্রার্থী ‘না-পসন্দ’! ভোট দিতেই গেলেন না শোভন, দিন কাটল সংবাদমাধ্যমে চোখ রেখে

প্রার্থী ‘না-পসন্দ’! ভোট দিতেই গেলেন না শোভন, দিন কাটল সংবাদমাধ্যমে চোখ রেখে

কলকাতা: তিনি কলকাতার প্রাক্তন মেয়র৷  বছর লালবাড়ির দায়িত্ব সামলেছেন৷ ৩৬ বছর ছিলেন কলকাতা পুরসভার কাউন্সিলর৷ অথচ রবিবার ভোটই দিতে গেলেন না শোভন চট্টোপাধ্যায়৷ বরং সারাটা দিন কাটালেন সংবাদমাধ্যমে চোখ রেখে৷ আর সঙ্গে ছিল রবিবারের বিশেষ মেনু চিকেন রেজালা৷ কিন্তু কেন ভোট দিলেন না প্রাক্তন মেয়র? তাঁর জবাব, ‘‘কাকে ভোট দেব? ভোট দেওয়ার মতো প্রার্থী কোথায়? নোটায় দিয়ে কী লাভ!’’

আরও পড়ুন- শীতের ঝোড়ো ইনিংসে কাবু বাংলা, আরও পারদ পতনে সোমবারই মরশুমের শীতলতম দিন

তৃণমূলের সঙ্গে মনোমালিন্যের পরেই বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়ে বিজেপি’তে যোগ দিয়েছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়৷ কিন্তু সেখানে তিনি যোগ্য সম্মান পাননি৷ আপাতত রাজনীতি থেকে নিজেকে সরিয়ে রেখেছেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র৷ তিনি কলকাতা পুরসভার ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার৷ নতুন করে আধার কার্ড করালেও শোভনবাবুর ভোটার কার্ড রয়ে গিয়েছে পুরনো ঠিকানাতেই৷ ওই ওয়ার্ডে ১০ বছর তৃণমূলের কাউন্সিলর ছিলেন তিনি৷ ঘটনাক্রমে এই বছর কলকাতা পুরভোটে ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন শোভন পত্নী রত্না চট্টোপাধ্যায়৷ তাই প্রার্থী না-পসন্দ শোভনের৷ রত্নার সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছে তাঁর৷ এমনকী বেহালার যে বাড়িতে এখন রত্না ও তাঁর দুই সন্তান থাকেন, সেই বাড়ি বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিক্রি করে দিয়েছেন শোভন৷ রত্নাকে ইতিমধ্যে দু’বার উচ্ছেদ নোটিশও পাঠিয়েছেন বৈশাখী৷ সম্পর্কের এই টানাপোড়েনে জড়িয়ে রয়েছে ত্রয়ী৷ 

ভোটের প্রসঙ্গ উঠলে শোভনবাবু বলেন, ‘‘বিধানসভা ভোটেও প্রার্থী পছন্দ না হওয়ায় ভোট দিতে যাইনি৷ এবারই তাই৷’’ এপ্রসঙ্গে রত্নার বক্তব্য, ‘‘এই সব অর্থহীন কথা৷ মানুষ প্রার্থীকে নয়, দলকে ভোট দেয়৷’’ এবার ভোটে অশান্তি প্রসঙ্গে শোভনের মত, এতটা বেশি গন্ডোগোল প্রত্যাশিত ছিল না৷ ২০১৫ সালেও এত অশান্তি হয়নি৷ এখন আর রাজনীতির অংশ নই৷ এটা ভেবেই ভালো লাগছে৷  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 × five =