ইসলামাবাদ: করোনাকালে একের পর এভারেস্ট জয়ের খবর উঠে আসছে৷ এবার পাকিস্তানের ১৯ বছরের যুবক মাউন্ট এভারেস্ট জয় করেছেন। নাম শেহরোজ কাশিফ৷ তিনিই পাকিস্তানের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য, যিনি এভারেস্ট জয় করলেন। কম বয়সি এভারেস্টজয়ী পর্বতারোহীদের মধ্যে শেহরোজ বিশ্বে চতুর্থ স্থানে রয়েছেন। এই পাহাড়ে আরোহণের পর থেকে শেহরোজ ‘ব্রড বয়’ নামে পরিচিতি পান।
৮, ৮৪৮.৮৬ মিটার উঁচুতে উঠে এভারেস্ট জয় করার পর ১৫ দিন নেপালে থেকে শেহরোজ কাশিফ বাড়ি ফিরে এসেছেন৷ ১১ বছর বয়সেই পাহাড়ে চড়ায় নেশায় মেতেছিলেন শেহরোজ। তখন পাকিস্তানের পাহাড়ি শহর সোগরানে যাচ্ছিলেন শেহরোজের বাবা। কিন্তু তাঁর তখন বাবা শেহরোজকে সঙ্গে নিয়ে যেতে রাজি হননি। এর দু’ সপ্তাহ পরে ১১ বছর বয়সেই ৩ হাজার ৮৮৫ মিটার উঁচু মাকরা পাহাড়ের চূড়ায় ওঠেন শেহরোজ। সেই তাঁর পর্বত আরোহণের যাত্রা শুরু৷ এরপর শেহরোজ ১২ বছর বয়সে ৪ হাজার ৮০ মিটার উঁচু মুসা কা মুসালা পাহাড়ে চড়েন। ওই বছরই ৪ হাজার ৬০০ মিটার উঁচুতে চাম্বরা পাহাড়ের চূড়ায় ওঠেন। ১৩ থেকে ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত পাঁচ বছের আরও পাঁচটি পাহাড় জয় করেছেন শেহরোজ।
শেহরোজ তাঁর মা-বাবার প্রথম এবং খুব আদরের সন্তান৷ পড়াশোনায় ভালো না হওয়া সত্ত্বেও বিজ্ঞানী হওয়ার বাসনা ছিল তাঁর। শেহরোজ বলেন, মা-বাবার অতিরিক্ত আদরের ফলে তিনি আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলতে থাকেন। অন্যের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন। কিন্তু পাহাড়ে চড়ার পর থেকে তাঁর সব ভাবনা বদলে যেতে থাকে৷ পড়াশোনায় দুর্বল হওয়ার কারণে শেহরোজের শিক্ষক তাঁর প্রতি অসন্তুষ্ট ছিলেন। একজন শিক্ষক বলেছিলেন, শেহরোজের দ্বারা কিছুই হবে না৷ পাহাড়ে চড়ার জন্য সরকারি স্পনসরশিপ চান শেহরোজ। তিনি বলেন, এভারেস্ট জয় করে তিনি যে রেকর্ড গড়েছেন, তাতে পাকিস্তানের নাম উজ্জ্বল হয়েছে৷ তবে সরকারের পক্ষ থেকে কোনও সহযোগিতা পাননি। পর্বত আরোহণে সরকারের আরও সহযোগিতা প্রয়োজন বলে জানান শেহরোজ৷ তাঁর আগে ১৭ বছর বয়সে ব্রড পিক পাহাড়ে চড়েছেন৷ এর উচ্চতা ছিল ৮ হাজার ৪৭ মিটার।