কলকাতা: ঠিক কি কারণে এত বিপুল অস্ত্র নিয়ে আসা হয়েছিল, তা জানতে ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানাল কলকাতা পুলিশের এসটিএফ৷ তাদের সঙ্গে কারা কারা জড়িত আছে এবং তাদের মূল উদ্দেশ্য কি ছিল সমস্ত বিষয়ে তদন্ত করতেই এই হেফাজতে চাওয়ার আবেদন বলে তদন্তকারী সংস্থা বেঙ্গল পুলিশের আধিকারিকরা জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার টেকনো সিটি থানার সাপুর্জি বাস টার্মিনালের সামনে থেকে ১৩.২ কেজি বিস্ফোরক ও অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র এবং দুটি ম্যাগজিন সহ দু’জনকে গ্রেফতার করে বেঙ্গল পুলিশের এস টি এফ। এই ঘটনায় ধৃত জামির শেখ ও মহম্মদ শাকিলকে শুক্রবার বারাসাত আদালতে তোলা হবে। ইতিমধ্যেই কড়া পুলিশি প্রহরায় তাঁদের নিয়ে আদালতের পথে রওনা দিয়েছেন তদন্তকারীরা৷
স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স বা এসটিএফ সূত্রের খবর, ঠিক কি কারণে এত বিস্ফোরক শহরে আনা হয়েছিল, তা এখনও খোলসা করেনি ধৃতরা৷ তবে প্রাথমিকভাবে তারা পুলিশকে জানিয়েছে, বিহারের মুঙ্গের থেকেই এই বিপুল পরিমাণ অস্ত্র শহরে আনা হয়েছিল৷ ধৃতদের দাবি অনুযায়ী, অস্ত্রগুলি নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বাসন্তীতে৷ ঘটনাচক্রে বৃহস্পতিবারই একটি রক্তদান শিবিরকে কেন্দ্র করে শাসকদলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল বাসন্তী৷ স্বাভাবিকভাবেই, শহর থেকে উদ্ধার হওয়া এই বিপুল পরিমাণ অস্ত্রের সঙ্গে রাজনৈতিক কোনও যোগ রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা৷
এদিকে রাত পোহালেই বড় দিন৷ ক’দিনের ব্যবধানে নিউ ইয়ার৷ স্বাভাবিকভাবেই, উৎসবের মরসুমে শহর যখন সেজে উঠছে ঠিক তখনই কলকাতার উপকন্ঠে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় ঘুম ছুটেছে পুলিশের শীর্ষ কর্তাদের৷ ইতিমধ্যেই মেট্রো এবং রেলের বড় জংশনগুলির নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে৷ শহরের জনবহুল এলাকাগুলিতেও সিসিটিভি ফুটেজের ওপর শুরু হয়েছে বাড়তি নজরদারি৷