রানাঘাট: মারধর করে বাড়ি থেকে ঠাকুমাকে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল নাতি ও নাত বৌয়ের বিরুদ্ধে। প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েও কোনও সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ। অবশেষে বৃদ্ধাশ্রমে ঠাঁই নিতে হচ্ছে ঠাকুমাকে। ঘটনাটি নদিয়ার রাণাঘাটের শ্যামনগর এলাকার। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই ছড়িয়েছে তীব্র চাঞ্চল্য৷
সব মহলের তরফে দাবি উঠেছে, অবিলম্বে দোষী নাতি ও নাত বৌয়ের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করুক প্রশাসন৷ তাঁদের কথায়, ‘‘বাড়িতে প্রবীণরা কি ব্রাত্য? কেন তাঁদের ঠাঁই মেলে না ঘরে?’’ তাঁদের মতে, অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, প্রবীণের অত্যাচারিত, বঞ্চিত। তাই এই জিনিস অবিলম্বে বন্ধ করতে অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা৷
সূত্রের খবর, অসহায় বৃদ্ধার স্বামী মারা গিয়েছে প্রায় ১০ বছর হল। তারপর থেকেই অভিযুক্ত নাতি এবং নাতবৌ ঠাকুমার উপর অকথ্য অত্যাচার করত বলে অভিযোগ। ঠাকুমার অভিযোগ, তাঁকে মারধর করে নাতি ও নাতবৌ। নাতির নামে বাড়ি লিখে দেওয়ার জন্য চাপ দেয় তারা। বৃদ্ধা জানান, পুলিসের দ্বারস্থ হয়েও মেলেনি সুরাহা। এখন তারা অসহায় বৃদ্ধাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। তিনি এখন মেয়ের বাড়িতে আছেন। কিন্তু সেখানে এসেও ঝামেলা করে নাতি। তাই ওই বৃদ্ধাকে বৃদ্ধাশ্রমে দিয়ে আসবে বলে ঠিক করেছে মেয়ে-জামাই। অভিযোগ, ঠাকুমার বার্ধক্যভাতার টাকা থেকে শুরু করে রেশনসামগ্রীও নিয়ে নেয় ওই নাতি। অসহায় বৃদ্ধার আর্জি, যেভাবে হোক তাঁর বাড়িতে যেন তাঁকে ফিরিয়ে দেবার ব্যবস্থা করে সরকার। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে প্রশাসনের অন্দরেও৷