কৃষ্ণনগর: নদীয়ার কৃষ্ণনগরে ওমিক্রমে আক্রান্ত হলেন নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগর পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা তথা জুনিয়র ডাক্তার অনির্বাণ হালদার। বর্তমানে কলকাতা মেডিকেল কলেজের জুনিয়র চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত।
সূত্রের খবর, গত ১৯ ডিসেম্বর কলকাতার মেডিকেল কলেজের রেপিট টেস্ট করা হয়৷ সেখানে তার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। আবার পরেরদিনই আর্টিপিশিআর করা হয়। একদিন পর রিপোর্ট আসলে পজেটিভ ধরা পড়ে। সেখান থেকে ওই জুনিয়র ডাক্তারকে কৃষ্ণনগর পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাড়িতে হোম আইসোলেশন এর জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
পরিবার সূত্রে খবর, গত ১০ দিন আগে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার মধ্যেই গত শুক্রবার নদীয়া জেলার স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে ফোন আসে, এবং জানানো হয় তিনি ওমিক্রমে আক্রান্ত হয়েছেন। তারপরই নদীয়া জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফ থেকে তাকে বেলেঘাটা আইডি হসপিটালে পাঠানো হয়। এর পাশাপাশি ওই ব্যক্তির পরিবারের প্রত্যেকটি টেস্ট করানো হয়৷ সেখানে তার মায়ের শারীরিক পরীক্ষা করানো হয় নদীয়া জেলার স্বাস্থ্য দপ্তরে৷ রিপোর্ট করোনা পজিটিভ হওয়ার কারণে তার মাকে নিয়ে যাওয়া হয় কল্যাণী কোভিঢ হাসপাতালে। তবে তার বাবা রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। তবে নদীয়া জেলায় প্রথম ওমিক্রমে আক্রান্ত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা কৃষ্ণনগর শহর সহ গোটা নদীয়া জেলায়।