কুলতলি: কিছুতেই বাগে আসছে না বাঘমামা৷ ছাগলের টোপেও ধরা দিচ্ছে না দক্ষিণরায়৷ ইতিমধ্যেই জঙ্গলের পথ জাল দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে৷ দু’দুটি লোহার খাঁচা পেতে ছাগলের টোপেও ধরা দিচ্ছে না ডোরাকাটা৷ সোমবার ভোর পর্যন্ত ফাঁদে পা দিল না রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার৷
আরও পড়ুন- ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ১ ডিগ্রি চরল পারদ, বর্ষবরণের আগে আরও কমবে ঠান্ডা
দক্ষিণরায়কে বাগে আনতে রবিবার শেখ পাড়া ও আদিবাসী পাড়ায় দুটি খাঁচা পাতেন বনকর্মীরা৷ টোপ হিসাবে তাতে রাখা হয় ছাগল৷ পাশাপাশি জালে ঘেরা জঙ্গলের গাছের মাথায় মাচা বেধে ঘুম পাড়ানি বন্দুক ও সার্চ লাইট নিয়ে বসে রয়েছেন অভিজ্ঞ বনকর্মীরা৷ বাঘটিকে দেখা মাত্রই ঘুমপাড়ানি গুলি গিয়ে কাবু করা হবে ডোরাকাটাকে৷ কিন্তু এখনও সেই সুযোগ পাননি বন দফতরের কর্মীরা৷ সেখানে উপস্থিত রয়েছেন বন আধিকারিক, ডিএফও, কনজারভেটর অব ফরেস্ট৷
এদিকে প্রশাসনের নির্দেশ মতো সারা রাত গোটা কুলতলি ছিল অন্ধকারে ঢাকা। ঘরে আলো জ্বালাননি আদিবাসীরা৷ অন্ধকার রাতে বাঘের অপেক্ষায় বসে রইলেন বন দফতরের কর্মীরা। কিন্তু ধরা দিল না ‘পাঁকাল’ বাঘ৷ এদিকে, বাঘ ধরা না পড়ায় ক্রমেই আতঙ্ক বাড়ছে কুলতুলির গ্রামে। না জানি কোন বিপদ অপেক্ষা করে রয়েছে কুলতলির জন্য! স্বস্তির ঘুম উড়েছে এলাকাবাসীর। গত পাঁচ দিন ধরে চেষ্টা চালিয়েও কোনও ভাবে বাঘটিকে ধরা যাচ্ছে না৷
গত বৃহস্পতিবার দর্শন গায়েনের চক এলাকায় ছিল বাঘটি। শুক্রবার ৫ নম্বর গরাণকাটির কাছে চলে আসে। সেখানে শোনা যায় দক্ষিণরায়ের গর্জন৷ দেখা যায় পায়ের ছাপ৷ শনিবার বিকালে বাঘটি চলে যায় পিয়ালির জঙ্গলে। সেখানেই জাল দিয়ে জঙ্গল ঘিরে ফেলেন বন দফতরের কর্মীরা। জঙ্গলের ভিতর থেকে তার গর্জনও শোনেন অনেকে৷ তাকে চাক্ষুশও করেন গ্রামবাসীরা৷ তিনদিন ধরে কুলতলির লোকালয়ের কাছেই রয়েছে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার৷ ডিএফও মিলন মণ্ডল বলেন, “গত চারদিন ধরে এলাকা পরিবর্তন করছে বাঘটি৷ রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারটিও একটা স্ট্রেসের মধ্যে রয়েছে। একটা আতঙ্ক কাজ করছে ওর মধ্যে। এদিকে বাঘের জন্য আতঙ্কিত গ্রামবাসীরাও৷ তার জন্যেই হয়তো বাঘটা আমাদের তৈরি করা খাঁচা আর টোপ এড়িয়ে নিজের জায়গায় ফেরার চেষ্টা করছে।’’