কানপুর: ১২০ ঘ্ণ্টা তল্লাশি চালিয়ে কানপুরে ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে উদ্ধার বিপুল গুপ্তধন৷ টাকার অঙ্ক শুনলে চোখ কপালে উঠবে৷ হ্যাঁ, সপা ঘনিষ্ঠ কানপুরের ওই ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে নগদ ২৫৭ কোটি টাকা৷ এছাড়াও দুবাইয়ে রয়েছে তাঁর দুটি বিলাসবহুল বাড়ি৷ দিল্লি, মুম্বই, কানপুর সহ দেশের ভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়ে রয়েছে তাঁর সম্পত্তি৷ কর ফাঁকিতে অভিযুক্ত ব্যবসায়ী পীযূষ জৈনের পৈতৃক বাড়িতে মিলেছে ১৮টি আলমারি, ৪০টি লকার, ৫০০টি চাবির গোছা৷ আজ সোমবারই আদালতে তোলা হবে তাঁকে৷
আরও পড়ুন- একদিনে ৩৭% বাড়ল দেশের ওমিক্রন আক্রান্ত! শীর্ষে রাজধানী
সাম্প্রতিককালে এত বড় আয়কর হানার উদাহরণ দেশে নেই৷ কেন্দ্রীয় আয়কর দফতর জানাচ্ছে, কোনও ব্যক্তির কাছ থেকে এত বিপুল অঙ্কের নগদ টাকা উদ্ধার ইতিহাসে এই প্রথম৷ জানা গিয়েছে কানপুরের ওই ব্যবসায়ীর একাধিক ব্যবসা থাকলেও, তাঁর মূল ব্যবসা সুগন্ধী দ্রব্যের৷ দীর্ঘ দিন ধরেই তাঁর বিরুদ্ধে বেনিয়মের অভিযোগ উঠছিল৷ সেই সূত্র ধরেই বৃহস্পতিবার রাতে যৌথভাবে পীযূষের বাড়ি ও কয়েকটি অফিসে হানা দেয় ইডি এবং আয়কর বিভাগের আধিকারিকরা৷ গত কয়েকদিন ধরে চলছিল টাকা গোনার কাজ৷ অবশেষে জানা গেল, আয়কর এবং ইডি আধিকারিকদের যৌথ অভিযানে চালিয়ে পীযূষের বাড়ি থেকে ২৫৭ কোটি টাকা উদ্ধার করেছে। এছাড়াও উদ্ধার হয়েছে কয়েক কিলোগ্রাম সোনা৷
এদিকে পীযূষকে নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর৷পীযূষ সমাজবাদী পার্টির ঘনিষ্ঠ বলে অভিযোগ তুলেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ৷ অন্যদিকে সপার দাবি যোগী জমানাতেই সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি হয়েছে৷ কানপুর এবং কনৌজ মিলিয়ে পীযূষের কাছে মোট সাতটি সম্পত্তি রয়েছে। মুম্বইয়ে দু’টি বাড়ি, দিল্লিতে একটি এবং দুবাইয়ে দু’টি সম্পত্তি রয়েছে তাঁর৷
পীযূষকে প্রায় ৫০ ঘণ্টা ধরে জেরার পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এখনও তল্লাশি চলছে। গত সপ্তাহে পীযূষের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছিল। প্রথম দিনেই উদ্ধার হয় ১৫০ কোটির নোট৷ কানপুরের আয়কর বিভাগের তরফে প্রকাশিত ছবিতে দেখা গিয়েছে, আধিকারিকেরা মাটিতে রাখা নোটের স্তূপের মধ্যে বসে মেশিন দিয়ে টাকা গুনছেন। মোট তিনটি টাকা গোনার মেশিন দিয়ে প্রায় দু’দিন ধরে টাকা গোনা হয়। সুগন্ধি দ্রব্যের ব্যবসা ছাড়াও পেট্রল পাম্প, পানমশলা-সহ একাধিক ব্যবসা ছিল কানপুরের ওই ব্যবসায়ীর৷ অথচ পুরনো একটি গাড়ি করে ঘুরতেন পীযূষ।