লন্ডন: এবার ভিড় এলাকায় করোনা আক্রান্তের উপস্থিতি দ্রুত জানা যাবে একটি ইলেকট্রনিক যন্ত্রের সাহায্যে। লন্ডন স্কুল অফ হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিন এবং ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ গবেষণায় এমন তথ্য পাওয়া গিয়েছে। করোনা আক্রান্তদের শরীর থেকে এক বিশেষ গন্ধ বের হয়, যা সেন্সরে ফিঙ্গারপ্রিন্ট হিসেবে ধরা পড়ে৷ এমন তথ্যই পরীক্ষা করে দেখেছেন গবেষকরা। বিজ্ঞানীরা এর নাম দিয়েছেন ‘কোভিড অ্যালার্ম’। তবে এই প্রযুক্তির সাহায্যে ভিড় এলাকায় করোনা আক্রান্ত রোগীর উপস্থিতি জানা গেলেও, কে সংক্রামিত তা বলা সম্ভব নয়৷
এলএসএইচটিএম এবং রোবোসায়েন্টিফিক লিমিটেড বায়োটেক সংস্থা ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় গবেষকরা অরগ্যানিক সেমিকন্ডাক্টর সেন্সরযুক্ত ডিভাইস দিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালান৷ তাতে দেখা যায়, এই প্রযুক্তির সাহায্যে মানুষের শরীর স্পর্শ না করেও আশ্চর্যজনকভাবে দ্রুত ও নির্ভুল তথ্য পাওয়া যাচ্ছে৷ তবে এলএসএইচটিএমের ডিজিজ কন্ট্রোল বিভাগের প্রধান প্রফেসর জেমস লগান জানান, এই প্রযুক্তি ব্যবহার করার ক্ষেত্রে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা প্রয়োজন৷ তাঁর নেতৃত্বেই এই প্রযুক্তির গবেষণা চলছে৷ তিনি বলেন, ‘ভিড় এলাকায় এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে যদি সাফল্য পাই, তাহলে যন্ত্রটিকে ছোট করা হবে। যাতে এটি কিনতে মানুষকে কম টাকা ব্যয় করতে হয়৷ এই প্রযুক্তি বাজারে এলে সংক্রমিত হওয়া থেকে মানুষকে সজাগ রাখা সম্ভব হবে। এই প্রযুক্তিতে অন্যান্য রোগ শনাক্তকরণের বিষয়টি যোগ করা নিয়েও গবেষণা করা হচ্ছে৷’
ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োসায়েন্স বিভাগের প্রফেসর স্টিভ লিন্ডসে বলেন, ‘বেশিরভাগ রোগের একটা নিজস্ব গন্ধ থাকে। সেই তথ্যের ওপর ভিত্তি করে আমরা ৫৪ জনের মোজা সংগ্রহ করে, তার গন্ধ নমুনা হিসেবে ব্যবহার করি। এর মধ্যে ২৭ জন করোনা আক্রান্ত ছিলেন। দিন দুয়েকের এই পরীক্ষায় দেখা যায়, অন্যান্য উপলব্ধ ডায়াগনোস্টিক টেস্টগুলির থেকেও করোনা সংক্রমণ নির্ভুলভাবে শনাক্ত করতে পারে এই প্রযুক্তি। এটি বিজ্ঞানের একটি বড় সাফল্য। এই গবেষণা ভবিষ্যতে রোগ নির্ণয় করতে সাহায্য করবে৷’