গঙ্গাসাগরকে জাতীয় মেলার স্বীকৃতি দেওয়া হোক, কেন্দ্রের কাছে দাবি মমতার

গঙ্গাসাগরকে জাতীয় মেলার স্বীকৃতি দেওয়া হোক, কেন্দ্রের কাছে দাবি মমতার

কলকাতা:  মেলার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে মঙ্গলবার তিনদিনের সফরে গঙ্গাসাগরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ পূর্বনির্ধারিত সূচি মেনেই এদিন দুপুরে কপিলমুনির আশ্রমে পুজো দেন তিনি৷ এর পর আশ্রমে দাঁড়িয়েই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কুম্ভ মেলার মতো গঙ্গাসাগর মেলাও অনেক বড়৷ কুম্ভ প্রথম হলে গঙ্গাসাগর দ্বিতীয় হওয়া উচিত৷ 

আরও পড়ুন- লড়বেন অশোক, প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল বামেরা

মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, গঙ্গাসাগর মেলাকে জাতীয় মেলা করার জন্য বহুবার প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে৷ কিন্তু কেন্দ্রের তরফে কোনও জবাব আসেনি৷ অপেক্ষা করে যাচ্ছি৷ মুখ্যমন্ত্রীর কথায়,  কুম্ভ প্রথম হলে এটা দ্বিতীয় হওয়া উচিত৷ কুম্ভ মেলার চেয়ে গঙ্গাসাগর কোনও দিক থেকেই কম নয়৷ কুম্ভমেলা সড়ক ও রেলপথের সঙ্গে যুক্ত৷ কিন্তু গঙ্গাসাগরে আসার একমাত্র পথ হল নদী৷ গঙ্গাসাগর সারা বিশ্বে এমন একটা মেলা যেখানে আসার একমাত্র উপায় জলপথ৷ সেই জন্যেই বলা হয় সব তীর্থ বারবার গঙ্গাসাগর একবার৷ এর পরেই তিনি বলেন, কিন্তু এখন মানুষ একবার নয়, একাধিকবার এখানে আসেন৷ আগে গঙ্গাসাগরে থাকার জায়গাও ছিল না৷ এখন সমস্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ গঙ্গাসাগর বাংলার অন্যতম বড় উৎসব৷ 

মমতা বলেন, ফি বছর ২০ থেকে ৩০ লক্ষ মানুষ গঙ্গাসাগরে আসে৷ তবে ফের কোভিড গ্রাফ বাড়তে শুরু করেছে৷ ফলে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে, অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে এবং কোভিড বিধি মেনে মেলায় আসতে হবে৷ তিনি বলেন, জেলাশাসক গঙ্গাসাগর মেলার যাবতীয় বন্দোবস্ত করেছেন৷ পুলিশ কর্তারাও এখানে রয়েছেন৷ আগামীকাল এখানে রিভিউ মিটিং হবে৷ প্রসঙ্গত, সোমবার বিকেলেও সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে বৈঠক করে প্রত্যেকের থেকে মেলার প্রস্তুতি সংক্রান্ত বিষয়ে খবরাখবর নেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন তিনি বলেন, আম্পান ও যশের ফলে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে৷ তা সত্ত্বেও দ্রুত সবরকম ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ যাতে তীর্থযাত্রীদের কোনও অসুবিধা না হয়৷ 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

9 + 9 =